
(অন্য কোনো সাম্রাজ্যের সঙ্গে মিল খুঁজে পেলে তা নিতান্তই কাকতালীয়)

সে কী! তুমি আমাকে ভাইয়ু ডাকছ কেন? এই নাটকে আমি তো তোমার স্বামী!
ওহ্, সরি! তোমার সঙ্গে তো আরও ৩৬টা নাটক করছি। এক নাটকে তুমি আমার স্বামী, একটাতে ভাই, একটায় পুরোনো প্রেমিক, আরেকটায় খালু...সম্পর্ক গুলিয়ে যায়।

শাহজাদা মুস্তাফা, ইউটিউবে নিজের নাটক নিজেই দেখছেন, ঘটনা কী?
পরিচালক বললেন, আগের সাতটা নাটকে যে চরিত্রে অভিনয় করেছি, এবারের চরিত্রটাও একই রকম। তাই গতবারের নাটকগুলো একটু দেখছিলাম। কিন্তু ভিডিও তো লোডই হচ্ছে না।
আরে ব্যাটা, আমার মতো কাত করে ধর, তাহলে তাড়াতাড়ি লোড হবে।

শোনো, আধঘণ্টার নাটকে ১৫ মিনিট বিজ্ঞাপন। ১০ মিনিট তোমরা হাঁটতে হাঁটতে যা ইচ্ছা বলো। ততক্ষণে আমি ভাবি, বাকি ৫ মিনিট কী দেখাব!
বস, আপনার তো নাটক পরিচালনা না করে স্কুলে পাটিগণিত শেখানো উচিত ছিল!

এইসব ‘অতি অভিনয়শিল্পী’দের নিয়ে তো মহা মুসিবত! শেষ দৃশ্যে জ্ঞান হারাতে বলেছিলাম, এ তো মরে গেছে মনে হচ্ছে!

এটা কোনো কথা? সকাল থেকে কস্টিউম পরে বসে আছি, নায়িকার খবর নাই। এখন বলছেন আধঘণ্টা অপেক্ষা করতে। আধঘণ্টার মধ্যে কি নায়িকা হাজির হবে?
না রে ভাই। আধঘণ্টার মধ্যে নায়িকার চরিত্রটা বাদ দিয়ে নতুন গল্প লেখা হবে।

আমরা সবাই হাসছি কেন?
কারণ এটা অনেক হাসির নাটক! হা হা হা! কী হাস্যকর! হো হো হো!

দাঁড়াও, একটু ভাব নিয়ে বসি। আমি তো বড় তারকা। রাস্তাঘাটে আমার সঙ্গে কত মানুষ ছবি তুলতে আসে জানো?
আফসোস! এই সাম্রাজ্যে এখন আর কোনো অভিনয়শিল্পী নাই। সবাই তারকা!

ডিরেক্টর কী বললেন বুঝলে তো? কোনো স্ক্রিপ্ট নাই। দৃশ্যের সঙ্গে মিলিয়ে ডায়ালগ বলতে হবে।
দৃশ্যের সঙ্গে মেলাতে গেলে তো ডায়ালগ না, কবিতা বলতে হয়, ‘যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি...’
অভিনয়টা শিখে আয় আগে আমার বাপের নাতি!

বাহ্, স্ক্রিপ্টে বেশ বৈচিত্র্য আছে দেখা যাচ্ছে। গল্পটা একদমই অন্য রকম।
ব্যাটা স্ক্রিপ্ট পাইল কই? আমি তো টেবিলের ওপর বাজারের লিস্টটা রাখছিলাম!

আরে আরে করছেন কী! স্ক্রিপ্টে তো গলা না, গাল টেপার কথা ছিল!
চোপ! তুই অভিনয়ের কী বুঝিস? এটাকে বলে ‘ইম্প্রোভাইজেশন’!