গেমের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের কথা

ব্যাটল অব ৭১–এর একটি দৃশ্য
ব্যাটল অব ৭১–এর একটি দৃশ্য

তরুণদের কথা যখন বলা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তাঁদের পৌঁছে দিতে আরেকটি কার্যকর মাধ্যম হলো গেম। সেটা মুঠোফোনের গেম হোক কিংবা কম্পিউটার গেম। তথ্যপ্রযুক্তির হাত ধরে মুক্তিযুদ্ধের বার্তা পৌঁছে দেওয়া। গেমের বিকাশটা অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি সময়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গেম বলতে গেলে একেবারেই সমসাময়িক সংযোজনা। আর তৈরিও হচ্ছে তরুণদের হাতে।

.
.


মুঠোফোনের জন্য ‘হিরোজ অব ৭১’, কম্পিউটারের জন্য ‘ব্যাটল অব ৭১’, নতুন প্রযুক্তি ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটিতে প্রকাশিত গেম ‘ওয়ার ৭১’, মুক্তিযুদ্ধের পুরো ইতিহাস নিয়ে ধাপে ধাপে নির্মাণাধীন গেম ‘ম্যাসিভ যুদ্ধ ৭১’-এর কথা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। হিরোজ অব ৭১ ছাড়া বাকি গেমগুলো সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে কিংবা প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।

তবে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর ঘটনা একদম নতুন নয়। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ২০০৪ সালেই গেম প্রকাশ করেছিল সোম কম্পিউটারস। ‘অরুণোদয়ের অগ্নিশিখা’ নামের গেমটি বানিয়েছিল ত্রিমাতৃক ইন্টারেকটিভ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আর বাংলা ভাষায় কম্পিউটারে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ১৯৯৬ সালে সিডি আকারে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা তৈরি করে হাইটেক প্রফেশনালস। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবর রহমান বলেন সে সময়ের কথা। ‘প্রায় দুই হাজার পৃষ্ঠার তথ্য আমরা ছবি-লেখার মাধ্যমে উপস্থাপন করেছিলাম “বাংলাদেশ একাত্তর”-এ। সে সময়ে সিডির ধারণা নতুন। তবু বেশ সাড়া ফেলেছিল। উইন্ডোজ ৯৫-এর জন্য আমরা বানিয়েছিলাম সে উপস্থাপনা।’

যুগের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় ইতিহাসকে তুলে ধরার মাধ্যম। বই তো রয়েছেই সব সময়ের জন্য, কমিক কিংবা গেমের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা এই প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে সহজে। তাঁদের স্বপ্নের নায়কে পরিণত হচ্ছেন বীর যোদ্ধারা।

.
.