আইফোনের যে ৭ সুবিধা অ্যান্ড্রয়েডে নেই

আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন
আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোন

আইওএস ১১ অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম পাবলিক বিটা সংস্করণ উন্মুক্ত করেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। এর ফলে সব আইফোন ও আইপ্যাড ব্যবহারকারীরা এখন অ্যাপলের নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমটি পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। আইওএস হচ্ছে অ্যাপলের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম, যাতে আইফোন ও আইপ্যাড চলে। আইওএসের ১১তম সংস্করণে বেশ কিছু নতুন ফিচার এসেছে। এর মধ্যে আছে নতুন কন্ট্রোল সেন্টার, পরিমার্জিত ক্যামেরা, উন্নত মাল্টিটাস্কিং সুবিধা প্রভৃতি। এ ছাড়া এতে এমন কিছু ফিচার এসেছে, যা আইওএসের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে নেই। এ রকম সাতটি ফিচার সম্পর্কে জেনে নিন:

স্প্যাম মেসেজ ফিল্টার: স্প্যাম মেসেজ বা স্প্যাম বার্তা ফিল্টার করার সুবিধাটি আইওএস ১১-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। আইওএস ১১ সংস্করণে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত হয়েছে, তা স্প্যাম বার্তাগুলোকে ফিল্টার করে ফেলে। ফলে স্মার্টফোন থাকে বেশি নিরাপদ।

নেটিভ স্ক্রিন রেকর্ডিং: আইওএস ১১ ব্যবহারকারীরা তাঁদের ডিভাইসের ডিসপ্লে থেকে ভয়েস ইনপুট দিয়ে কনটেন্ট রেকর্ড করতে পারবেন। এ ফিচারটি ব্যবহার করে জিআইএফ বা জিফ তৈরি করা যাবে। স্যামসাং স্মার্টফোনে এ সুবিধাটি থাকলেও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মূল ফিচার হিসেবে এটি এখনো চালু হয়নি।

বিভিন্ন ডিভাইসে মেসেজ সিনক্রোনাইজ: আইওএস ১১ অপারেটিং সিস্টেমে মেসেজেস অ্যাপ্লিকেশনটি আইক্লাউড সমর্থন পাচ্ছে। এর ফলে অ্যাপলের সব ডিভাইসে বার্তা সিনক্রোনাইজ থাকবে। একটি অ্যাপল আইডি দিয়ে সব বার্তা যেকোনো অ্যাপল ডিভাইসে পড়া যাবে। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড মেসেজেস অ্যাপে এখনো এ সুবিধা নেই।

অর্থ লেনদেন: আইওএস ১১তে মেসেজেস অ্যাপটির মাধ্যমে অর্থ আনা-নেওয়ার সুবিধা দিচ্ছে অ্যাপল। সাধারণ বার্তা পাঠিয়ে এ সুবিধা চালু করা যায়। অ্যান্ড্রয়েডে এখনো অর্থ লেনদেন সুবিধা আসেনি।

সিরিতে রিয়েল টাইমে অনুবাদ: আইওএস ১১ অপারেটিং সিস্টেমে ভার্চ্যুয়াল সহকারী সফটওয়্যার সিরি আরও উন্নত হয়েছে। অ্যাপলের এই কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রিত সহকারী সফটওয়্যার আলাপচারিতার সময় সঙ্গে সঙ্গে অনুবাদ করে দেখাতে পারে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি ভাষায় এ সুবিধা চালু হয়েছে। ইংরেজি থেকে চায়নিজ, ফ্রেঞ্চ, জার্মানি, ইতালিয়ান ও স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ করতে পারে সিরি।

সহজ সেটআপ: আইওএস ১১ ব্যবহারকারীরা নতুন আইওএস চালিত ডিভাইস পুরোনো ডিভাইসের কাছাকাছি রেখে দ্রুত সেটআপ করতে পারবেন। এ ফিচারটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো জানায়নি অ্যাপল। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, পুরোনো আইওএসচালিত কোনো ডিভাইস বা ম্যাকের কাছে আপনার নতুন আইফোন বা আইপ্যাড রাখুন। এতে অনেক ব্যক্তিগত সেটিংস ও আইক্লাউড কিচেইন পাসওয়ার্ড দ্রুত ও নিরাপদে সেখানে চলে যাবে।

ড্রাগ অ্যান্ড ড্রপ সমর্থন: নতুন আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে এসেছে কনটেন্ট ড্রাগ অ্যান্ড ড্রপ সুবিধা। এতে ছবি, টেক্সট, লিংক প্রভৃতি অ্যাপ সুইচার প্যানেলের মাধ্যেমে বিভিন্ন অ্যাপে সহজে ব্যবহার করা যাবে। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ।