আমরাও পারি

তিনি উত্ত্যক্তের শিকার হলেন। প্রতিবাদ করলেন। সাহায্যও চাইলেন। কেউ এগোল না। নীরব দর্শক হয়ে সবাই দেখল। ইভ টিজাররা আরও মজা পেল, সেই সঙ্গে সাহসও। তিনি নিরাশ হলেন। তারপর রুখে দাঁড়ালেন। ধাওয়া দিলেন, পিছু ছুটলেন। তাঁর কষ্ট ক্ষোভ নিষ্ফল হয়নি। অবশেষে পুলিশের সাহায্যে পাকড়াও হলো উত্ত্যক্তকারীরা। ঘটনাটা ভিনদেশি। ভারতের মুম্বাই শহরে।
উত্ত্যক্তকারীদের পাকড়াও করে পুলিশে দিলেন সেই নারী। ভুক্তভোগী নারী ভয়ে চুপচাপ থেকে নিজেকে বিপদে ফেলেননি। অন্তত বাঁচার জন্য নড়ে উঠেছেন। শেষ পর্যন্ত জয়ীও হয়েছেন। এতে তঁার নারীত্ব আর জীবন দুটোই রক্ষা পেল। পেশায় তিনি মডেল। প্রতিদিনই শরীরচর্চার প্রয়োজন পড়ে। জনবহুল রাস্তায় তিনি দৌড়ান, জগিং করেন। নিয়মিত এই অনুশীলনই তাঁর সুস্থ থাকা আর আত্মরক্ষার কৌশলে উদ্বুদ্ধ করে। তাঁকে কিছুই হারাতে হয়নি।
আমাদের মেয়েরাও সাহসী আর কৌশলী হোক। নিজের জন্য লড়ুক। জীবন রক্ষায় সচেতন হোক। মফস্বলের কোনো কোনো বিদ্যালয়ে মেয়েদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হয়। তাদের মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
নজির আহমেদ, কিশোরগঞ্জ।