মানবসভ্যতার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বড় হুমকি

উন্নত প্রযুক্তির মহাকাশযান তৈরিসহ মঙ্গল গ্রহে বসতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ সমাদৃত মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্স এবং গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলন মাস্ক। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গভর্নর অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বেশ সমালোচনা করেছেন টেসলা প্রধান।

ওই অনুষ্ঠানে এলন মাস্ক দাবি করেন, মানবসভ্যতার অবসান ঘটাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই যথেষ্ট। তিনি জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বশেষ সংস্করণের সঙ্গে তিনি যুক্ত আছেন। তাই এ ব্যাপারে কতটা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, তা নিয়ে বেশ চিন্তিত মাস্ক।

এবারই যে প্রথম মাস্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সবাইকে সতর্ক করছেন এমনটি নয়। কয়েক বছর ধরেই সতর্কতার বাণী শুনিয়ে আসছেন তিনি। পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য হুমকির কারণ হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্রের পরই মাস্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে দায়ী করেন। এক টুইট বার্তায় ২০১৪ সালে মাস্ক বলেছিলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা পালন করতে হবে। পারমাণবিক অস্ত্রের পরই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ প্রযুক্তির মাধ্যমে কারও যেন ক্ষতি না হয়, এ ব্যাপারে সরকারকে আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন মাস্ক। অনুষ্ঠানটিতে তিনি বলেন, সময় পেরিয়ে যাওয়ার আগেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ও ব্যবহার নিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ এবং নিয়ন্ত্রণ আনা প্রয়োজন। অনেক শিল্পকারখানাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিয়মনীতি ও ঝুঁকির কথা তোয়াক্কা না করেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। আর এতে মানুষ কর্মসংস্থান হারাচ্ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নীতিমালা প্রণয়নের আগে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরকারকে পরামর্শ করার আহ্বান জানান মাস্ক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হুমকির ব্যাপারে মাস্ককে সতর্ক করতে দেখে কেউ অবাক না হলেও এ বিষয়ে তাঁর সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন অনেকেই।

শাওন খান, সূত্র: ম্যাশেবল