এক সিম সব দেশে

দেশের বাইরে যাচ্ছেন? নিশ্চয় চাইবেন, যে দেশে যাচ্ছেন সে দেশে পৌঁছামাত্রই পরিচিতজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। হাল আমলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম হচ্ছে স্মার্টফোন। কিন্তু বিপত্তি সেখানেই। আপনার ব্যবহার করা সিম কার্ডটি তো ওই দেশে সচল হবে না, যদি আপনি আগে থেকে সিম কার্ডটি রোমিং করে না যান কিংবা বিদেশে গিয়ে নতুন সিম কার্ড কিনলেও তা সঙ্গে সঙ্গে সচল হয় না। আর সিম রোমিং করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাগজপত্র দেখানো, টাকা জমা দেওয়ার ঝামেলা তো রয়েছেই। তার মধ্যে আবার আপনি রোমিং সুবিধা পাওয়ার জন্য দেশে যত টাকা জমা দিয়েছিলেন, তা যদি বিদেশে গিয়ে দেশে ফেরার আগেই ব্যবহার করে ফেলেন, তখন আর কোথাও কল করার সুযোগ পাবেন না। বিদেশবিভুঁইয়ে তখন কী করবেন? ভাবুন তো! এ ক্ষেত্রে আপনাকে সমাধান দিতে পারে ফোর ডিএল বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠান স্যামি টেলের ‘ইন্টারন্যাশনাল সিম’, এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজাম মুহাম্মেদ উদ্দিন। সিম কার্ডটি সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেনও।

সিম কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে ২০০টি দেশে। ভাবছেন, কীভাবে? ব্যাপারটা পরিষ্কার করছি। ধরুন, আপনি যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন। বিমান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই দেশটির যেকোনো একটি মোবাইল ফোন সংযোগদাতার সংযোগ চালু হয়ে যাবে। ওই প্রতিষ্ঠানের কল রেট অনুযায়ী কল রেট কাটা হবে। মূলত ওই সিমে ২০০টি দেশের মধ্যে প্রতিটি দেশেরই কোনো না কোনো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক সমর্থন করে। যখন যে নেটওয়ার্ক পাবে, সে নেটওয়ার্কেই সচল হবে। এ ছাড়া এমন কোনো জায়গা গেলেন, যেখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া প্রায়ই অসম্ভব। সেটি হতে পারে গভীর সমুদ্র কিংবা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম উপগ্রহ সংযোগ থেকে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে সিমটিতে। ১ হাজার ৯৯৯ টাকা খরচ করতে হবে সিম কার্ডটি কিনতে। আর যে দেশেই যান না কেন, নম্বর থাকবে একটিই। তবে বাংলাদেশে সিম কার্ডটি ব্যবহার করে কোথাও কল দেওয়া যাবে না।

নিজাম মুহাম্মেদ উদ্দিন বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সিম কার্ডের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে অনাপত্তি সনদ (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) নেওয়া হয়েছে। তবে দেশে এটি চালুর অনুমতি পাওয়া যায়নি।

নিজাম মুহাম্মেদ উদ্দিনের কাছে প্রশ্ন ছিল, কী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে? বলেন, সিম কার্ড তৈরি করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এতে নেটওয়ার্ক সংযোগে ভোডাফোন, অরেঞ্জ মোবাইল ও সিংটেলের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন দেশে এ ধরনের সিম কার্ড আছে।

সিম কার্ডটি সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে www.4dlbangladesh.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে।