রাজনীতি নয়, সমাজসেবাই করতে চান জাকারবার্গ

মার্ক জাকারবার্গ
মার্ক জাকারবার্গ

‘চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ’ বা সিজেডই নামে একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের। পৃথিবীকে আরও সুন্দর একটি বাসস্থান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ ও তাঁর স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান প্রতিষ্ঠা করেন এই প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক সংগঠন দ্বারা পরিচালিত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার তোপে পড়েছে চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ।

গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করেছেন দক্ষ রাজনীতিবিদ জোয়েল বেনেনসন। এর আগে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্যও কাজ করেছেন তিনি। তাঁরই একটি সংস্থা বেনেনসন স্ট্র্যাটেজি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমালোচনায় এসেছেন জাকারবার্গ। তবে সমাজসেবার বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দক্ষ লোক নিয়োগ দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন জাকারবার্গ। এ ব্যাপারে তিনি জানান, তিনি কোনো রাজনৈতিক কার্যালয় তৈরির পরিকল্পনা করছেন না; বরং চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ ধীরে ধীরে আরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষকে নিয়োগ করছে। এ নিয়ে সিজেডইর একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা মূলত বিজ্ঞান, শিক্ষা, বাসস্থান, বিচার সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি মূল বিষয় নিয়ে কাজ করছি। এ কাজে গবেষণার জন্য যে কারও কাছ থেকেই আমরা সাহায্য নিতে পারি।’

উল্লেখ্য, চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ শুধু এ বছরেই আধা ডজনের বেশি লোক নিয়োগ দিয়েছে, যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে রাজনৈতিক দল বা সরকারের সঙ্গে কাজ করার। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান নীতি ও প্রচার বিভাগের প্রধান ডেভিড প্লুফ। যিনি এর আগে হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন। এ ছাড়া রয়েছেন হোয়াইট হাউসের সাবেক সহকারী প্রেস সচিব জেসিকা স্যান্টিলো। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করেছেন জাকারবার্গ।
শাওন খান, সিএনএন