ইন্টারনেট নিরপেক্ষতা ও রোবটিকসে জোর দেওয়ার আহ্বান

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বেসিস সফট এক্সপোতে ‘নেট নিউট্রালিটি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বেসিস সফট এক্সপোতে ‘নেট নিউট্রালিটি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত।

ইন্টারনেট নিরপেক্ষতা বা ‘নেট নিউট্রালিটি’, রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘নেট নিউট্রালিটি’ ও ‘রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বাংলাদেশ: ব্যবসা এবং শিল্পের অটোমেশনের প্রয়োগ’ শীর্ষক দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বেসিস সফটএক্সপো উপলক্ষে ওই দুটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

‘নেট নিউট্রালিটি’ সেমিনারে মূল বক্তব্য দেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম রোকনুজ্জামান। তিনি বলেন, সাধারণত কোনো ধরনের প্ল্যাটফর্ম প্রদানকারী যদি ওই প্ল্যাটফর্মের সব সেবা সরবরাহ করে, তাহলে একই প্ল্যাটফর্মের অন্য সেবা সরবরাহকারী ব্যক্তিরা ন্যায্যভাবে প্রবেশ করতে পারে না। টেলিকম ক্ষেত্রে এই উদ্বেগকে মূলত ‘নেট নিউট্রালিটি’ বলা হয়। নেট নিউট্রালিটি নিশ্চিত করার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা সব ইলেকট্রনিক যোগাযোগ সমানভাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য নীতিমালা ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেট হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল ভিত্তি। ইন্টারনেট ন্যায্যতার দাবি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ই-কমার্সে ও প্রসারে। আমরা বিটিআরসিকে নতুনভাবে সাজাতে কাজ করছি। আশা করি, এ বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।’

‘রোবোটিকস·ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বাংলাদেশ: ব্যবসা এবং শিল্পের অটোমেশনের প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা নতুন প্রযুক্তির সম্ভাবনার কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত।
‘রোবোটিকস·ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বাংলাদেশ: ব্যবসা এবং শিল্পের অটোমেশনের প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা নতুন প্রযুক্তির সম্ভাবনার কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত।

‘রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বাংলাদেশ: ব্যবসা এবং শিল্পের অটোমেশনের প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস·এবং ম্যাকাট্রনি· বিভাগের চেয়ারম্যান লাফিফা জামাল। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, এমআইটির বিশেষজ্ঞ অ্যালান অ্যাডেলম্যান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আলী আশফাক।

বক্তারা বলেন, সময় এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের। রোবোটিকস বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রভাব ও প্রসার বর্তমানের ব্যবসা ও শিল্পের অটোমেশনে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখাচ্ছে। কিন্তু রোবট প্রযুক্তি আসলেই মানুষের কাজের জায়গা দখল করে নেবে, এ ধারণা ঠিক নয়।

অ্যাডেলম্যান বলেন, সারা বিশ্বে রোবোটিকস· প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং মেশিন লার্নিং জনপ্রিয় আর অর্থনৈতিকভাবে সুফল নিয়ে আসছে। সঠিক উদ্যোগ নিলে এ থেকে বাংলাদেশও সুফল পাবে। সফলতার জন্য প্রয়োজন অ্যাকাডেমি ও শিল্পের সমন্বয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আলী আশফাক বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে রোবোটিকস প্রযুক্তি সাফল্য দেখিয়েছে। এ খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে আরও উন্নতি করা সম্ভব।