কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সতর্ক করেছেন হকিং

২০০৭ সালে এক বিশেষ বিমান ভ্রমণে মাধ্যাকর্ষণ শূন্যতার ধারণা নেন স্টিফেন হকিং। এএফপি
২০০৭ সালে এক বিশেষ বিমান ভ্রমণে মাধ্যাকর্ষণ শূন্যতার ধারণা নেন স্টিফেন হকিং। এএফপি

৭৬ বছর বয়সে চলে গেলেন বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ জ্যোতিঃপদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। গতকাল বুধবার মৃত্যুবরণ করেন পৃথিবীর অন্যতম সেরা এই বিজ্ঞানী। পৃথিবীর শুরু নিয়ে যেমন গবেষণা করেছেন তিনি, তেমনই মানবসভ্যতার ইতি নিয়ে সব সময় সতর্ক করেছেন। মানবসভ্যতার ধ্বংসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও রোবটের ভূমিকা থাকবে বলে মনে করতেন তিনি।
গত বছরের নভেম্বরে ওয়্যার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হকিং বলেছিলেন, ‘আমি ভয়ে আছি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হয়তো একদিন মানুষের স্থলাভিষিক্ত হবে। মানুষ যেমন কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি করেছে। কেউ হয়তো এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করবে, যা নিজে নিজে বাড়তে থাকবে।’ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতার সময় তিনি একবার বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হয় মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার, নয়তো সবচেয়ে খারাপ।

পৃথিবী ধ্বংসের কাছাকাছি চলে এসেছে বলেও সতর্ক করে গেছেন হকিং। আর তাই মানুষকে অন্য কোনো গ্রহে বসতি গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এটাই এখন পৃথিবীবাসীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে উল্লেখ করেছেন এই বিজ্ঞানী। বলেছিলেন, মানবজাতির জন্য উপযুক্ত গ্রহ খুঁজে নেওয়াটাই এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি। সতর্ক করতে যোগ করেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা এমন এক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছি, যেখান থেকে আর ফেরার পথ নেই। পৃথিবী আমাদের জন্য অনেক ছোট হয়ে আসছে। পৃথিবীতে জনসংখ্যা ভয়ংকর হারে বেড়ে চলেছে আর আমরা নিজেই নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি।’

শাওন খান, সূত্র: এএফপি, নিউজউইক