পুরো পৃথিবীকে কম্পিউটার হিসেবে মনে করেন সত্য নাদেলা

সত্য নাদেলা
সত্য নাদেলা

মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলার মতে, পুরো পৃথিবীটাই একটি কম্পিউটার। এর জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং, ইন্টার অব থিংস আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণেই পুরো পৃথিবীকে কম্পিউটার বলা যেতে পারে। সম্প্রতি লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নাদেলা বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে সবখানে সমাদৃত হচ্ছে। প্রতিটি জিনিসে, প্রত্যেক ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাড়ি, কাজের ক্ষেত্র বা বিনোদনেও এটি ঘটছে। পৃথিবীটাকে কম্পিউটার হিসেবে কল্পনা করা দারুণ মজার। আমরা যেহেতু সামনে এগোচ্ছি, এটিকে সঠিক রূপক বলা যেতে পারে।’

তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কিছুদিন ধরেই মাইক্রোসফটে বিভিন্ন রূপান্তর নিয়ে কাজ করছেন নাদেলা। ক্লাউড প্রযুক্তি, মেশিন লার্নিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই) মতো প্রযুক্তিগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড ব্যবসা গত প্রান্তিকেই ৯৩ শতাংশ বেড়েছে। গত মার্চ মাসে ক্লাউড ও এআইকে গুরুত্ব দিয়ে উইন্ডোজ ও ডিভাইস গ্রুপকে পৃথক করেছে মাইক্রোসফট।

নাদেলা বলেছেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে মাইক্রোসফটের পরিকল্পনার মূলে। সামনে যত এগোব, বিশেষ করে অ্যাপ্লিকেশন ও প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে, সবকিছুই এআইনির্ভর হবে।’

মাইক্রোসফট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তাদের সব পণ্য একসঙ্গে যুক্ত করার কথা ভাবছে বলে জানান নাদেলা। তিনি বলেন, ‘আপনার চারপাশে যত কম্পিউটিং শক্তি আছে, তা কাজে লাগাতে পারছেন আপনি আর এতে সবার সঙ্গে বৈঠকের প্রচলিত ধারণা বদলে যাচ্ছেই। একেই পুরো বিশ্ব একটি কম্পিউটার, সে ধারণা সঙ্গে মেলানো যায়।’

নাদেলা বলেন, মাইক্রোসফট সবখানে ক্লাউড অবকাঠামো তৈরিতে জোর দিলেও তা যথেষ্ট নয়। কারণ তাঁর মতে, যেখানে বিশাল পরিমাণ তথ্য উৎপন্ন হচ্ছে, সেখান পর্যন্ত কম্পিউটিংকে নিতে হবে। সেটি তেলের খনি, খুচরা দোকান কিংবা কোনো কারখানা হতে পারে। এসব জায়গায় অসংখ্য ছোট সেন্সর থেকে তথ্য তৈরি হতে পারে। সেগুলো ধরার চেষ্টা করছে মাইক্রোসফট। প্রতিবছর রেফ্রিজারেটর, ড্রিল মেশিন কিংবা টোস্টারের মতো যন্ত্র থেকে শুরু করে নানা ডিভাইসে ৯০০ কোটির বেশি মাইক্রোকন্ট্রোলার বাজারে আসছে। এসব যন্ত্রকে ক্লাউডের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে মাইক্রোসফটের।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির সময় তা নৈতিকতা মেনে করা উচিত বলে সতর্ক করেন তিনি।