নতুন প্রযুক্তি ও ফিচারে বাজারে এসেছে হুয়াওয়ের নতুন স্মার্টফোন

হুয়াওয়ে নোভা থ্রিই
হুয়াওয়ে নোভা থ্রিই

সম্প্রতি নোভা সিরিজে নতুন স্মার্টফোন থ্রিই বাজারে ছেড়েছে হুয়াওয়ে। এতে যুক্ত হয়েছে নচ প্রযুক্তি ও দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন। হুয়াওয়ের আগের ফোনগুলোর তুলনায় এর চারপাশের ফ্রেমের পুরুত্ব অনেক কমিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে ফোনটি প্রায় বেজেলহীন, অর্থাৎ চারপাশে প্রায় ফ্রেমহীন।

ফোনটিতে দেওয়া আছে হালনাগাদ অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ ওরিও অপারেটিং সিস্টেম। এ ছাড়া দ্রুত ও পরিবর্তনশীল দৃষ্টিনন্দন থিম, হাইকেয়ার, ওয়াই-ফাই ব্রিজ, ইউজার মোড, বিল্ট-ইন অ্যান্টিভাইরাস, হুয়াওয়ে আইডি ও ক্লাউড স্টোরেজ, হুয়াওয়ে শেয়ার এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাকল সেন্সরের মতো ফিচার যুক্ত হয়েছে এতে। ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে হুয়াওয়ে ইএমইউআই ৮।

হুয়াওয়ে থ্রিই-এর নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য যুক্ত করা হয়েছে ফেস আনলক ফিচার। এর ফলে সেটিংস থেকে ফেস আনলক অপশন চালু করে নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে পারবেন। ব্যবহারকারীর মুখমণ্ডল শনাক্ত করার মাধ্যমে ফোন আনলক করা যাবে। নতুন ফেস আনলক ফিচারটিতে টুডি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে হুয়াওয়ে। মুখমণ্ডলের প্রায় এক হাজারটি ডেটা পয়েন্ট সঠিক ও সূক্ষ্মভাবে শনাক্ত করার মাধ্যমে ফোন আনলক করবে নতুন এ ফিচার।

ফিচারটির মাধ্যমে শনাক্ত করা সব তথ্য হুয়াওয়ের কিরিন প্রসেসরে ট্রাস্টেড এক্সিকিউশন এনভায়রনমেন্টের (টিইই) মধ্য দিয়ে সংরক্ষিত থাকবে। ফেস আনলক অপশনটি আনুমানিক মাত্র ৮০০ মিলি সেকেন্ডে ফোন আনলক করতে সক্ষম বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক লাইট ফিউশন প্রযুক্তির ১৬ + ২ মেগাপিক্সেলের ডুয়েল ব্যাক ক্যামেরা এবং সেলফি তোলার জন্য ১৬ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা নিয়ে মোট চারটি ক্যামেরা। মাত্র শূন্য দশমিক ৩ সেকেন্ডে অটো ফোকাস, বিএসআই সেন্সর, উন্নত ফ্ল্যাশ, জিও ট্যাগিং, এইচডিআর, প্যানোরমা, সেলফ টাইমার, লাইট পেইন্টিং ও ফেইস ডিটেকশন ফিচার রয়েছে এতে। পেশাদার ক্যামেরা ব্যবহারকারীদের জন্য এর ব্যাক ও ফ্রন্ট ক্যামেরায় দেওয়া আছে পোর্ট্রেট মোড, জেনুইন বোকেহ্ ইফেক্ট এবং কম আলোতে ঝকঝকে ছবি তোলার সুবিধা।

ফোনটির ১৯: ৯ স্ক্রিন-টু-বডি আনুপাতিক মাপের ৫.৮৪ ইঞ্চি ফুলএইচডি স্ক্রিনে ব্যবহার করা হয়েছে হুয়াওয়ে ফুলভিউ ডিসপ্লে ২.০। ডিসপ্লেটির রেটিনা এইচডি (প্রতি ইঞ্চিতে ৪৩২ পিক্সেল) ও ১৫০০: ১ আনুপাতিক মাপ ব্যবহারকারীকে দেবে উন্নত রং দেখার অভিজ্ঞতা। চোখের যাতে ক্ষতি না হয়, সে লক্ষ্যে এতে ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে।

ডিভাইসটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ক্ষমতাসম্পন্ন হাইসিলিকন কিরিন ৬৫৯ মডেলের ৬৪ বিটের অক্টাকোর প্রসেসর। দ্রুতগতিতে মাল্টিটাস্কিং, গেম খেলাসহ অন্যান্য কাজ করতে এতে আছে ৪ জিবি র‍্যাম ও ৬৪ জিবি রম বা অভ্যন্তরীণ মেমোরি। এ ছাড়া মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে ২৫৬ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি বাড়ানো যাবে।

ফোনটির নিরাপদ ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির ডিভাইসটি ৯ ভি২এ হাইভোল্টেজ সমর্থন করে, যা চার্জিং সময়কে ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেয় এবং ১৫ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিল্ট-ইন ডুয়েল সিম ডুয়েল স্ট্যান্ডবাই কানেকটিভিটি প্রযুক্তির পাশাপাশি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বমানের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিকগনিশন প্রযুক্তি আছে হ্যান্ডসেটটিতে। শুকনো, এমনকি ভেজা হাতেও ৩৬০ ডিগ্রি কোণে ফোন আনলক করা, ছবি তোলা এবং কল রিসিভ করা যায়।

নোভা থ্রিইতে আছে ৩০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ননরিমুভেবল ব্যাটারি। এর দাম ২৭ হাজার ৯৯০ টাকা।