ই-পাসপোর্টে তথ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা খাতে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে দেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান

ভেরিডোসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেনস উলফগ্যাং কুনজ, ফ্লোরা টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম (ডান থেকে) ও ভেরিডোসের কর্মকর্তারা।
ভেরিডোসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেনস উলফগ্যাং কুনজ, ফ্লোরা টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম (ডান থেকে) ও ভেরিডোসের কর্মকর্তারা।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পাসপোর্ট সেবা দেওয়ার উদ্দেশে ই-পাসপোর্টের (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। দেশব্যাপী ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে বাংলাদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ফ্লোরা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে জার্মান প্রতিষ্ঠান ভেরিডোস এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে তথ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা খাতে প্রযুক্তি সহায়তা দেবে ফ্লোরা টেলিকম।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, ই-পাসপোর্টের মূল ডেটা সেন্টারের দায়িত্ব থাকবে ফ্লোরা টেলিকমের ব্যবস্থাপনায়।

ফ্লোরার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার জানানো হয়, দুর্যোগকালীন তথ্য ব্যবস্থাপনা, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসগুলোয় প্রযুক্তির সমন্বয় করবেন ফ্লোরার কর্মীরা। দেশীয় অংশীদার হিসেবে পাসপোর্ট কার্যক্রম পরিচালনায় প্রাতিষ্ঠানিক এন্টারপ্রাইজ সার্ভার, স্টোরেজ এবং নিরাপত্তা সমাধান প্রদান করবে ফ্লোরা।

গত সপ্তাহে জার্মান প্রতিষ্ঠান ভেরিডোসকে বাংলাদেশে বায়োমেট্রিকভিত্তিক পাসপোর্ট সেবা পরিচালনার জন্য ৩৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন টাকার কাজ অনুমোদন দেয় সরকার।

ভেরিডোস তিন কোটি ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরবরাহ করবে বাংলাদেশকে। এর সঙ্গে আগামী ১০ বছর এই কার্যক্রমের দেখভালের দায়িত্বে থাকবে তারা।

ফ্লোরা টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট প্রকল্পে প্রযুক্তি সেবা দিতে পেরে গর্ববোধ করছি। জার্মান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিত অভিজ্ঞতা বাস্তবায়নে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সুদূরপ্রসারী প্রকল্প সফল হবে। সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে ই-পাসপোর্টের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।’

৪ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি ২০২৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

১৯ জুলাই নাগরিকদের নিরাপত্তা জোরদার এবং ভুয়া পাসপোর্ট প্রতিরোধে ই-পাসপোর্ট চালু করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।