অ্যাপলের পর আমাজনও ট্রিলিয়নের ক্লাবে

আমাজন কোম্পানির লোগো। ছবি: রয়টার্স
আমাজন কোম্পানির লোগো। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় কোম্পানি হিসেবে এক ট্রিলিয়ন ডলার (এক লাখ কোটি মার্কিন ডলার) স্টক মার্কেট ভ্যালুর উচ্চতা স্পর্শ করেছে ই-কমার্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আমাজন। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটি এই মাইলফলক স্পর্শ করে। গত মাসে প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনন্য এই মাইলফলক স্পর্শ করে মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল।

আমাজনের এই আর্থিক মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৪ লাখ কোটি টাকা; যা বাংলাদেশের ২০টিরও বেশি অর্থবছরের বাজেটের প্রায় সমান।

মঙ্গলবার রাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সর্বশেষ বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন এই খুচরা শেয়ারগুলোর ১.৪ শতাংশের মূল্য দাঁড়ায় ২,০৪১.৬৮ ডলার। যখন এই মূল্য বেড়ে ২,০৫০.২৬ ডলারে দাঁড়ায়, তখনই এক ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর আমাজনের শেয়ারমূল্য হয় ১ হাজার ডলার। এর ১০ মাস পর গত ৩০ আগস্ট শেয়ার মূল্য দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ডলারে। ২০০৯ সালের ২৩ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য ছিল ১০০ ডলার।

মার্কিন ইলেকট্রনিক বাণিজ্য কোম্পানি আমাজন। এর সদর দপ্তর ওয়াশিংটনের সিয়াটলে। এটা ইন্টারনেটভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি। এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। প্রথমে অনলাইন বইয়ের দোকান হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে আমাজনডটকম নামে। পরে ডিভিডি, ভিএইচএস, সিডি, ভিডিও এবং এমপিথ্রি ডাউনলোড/স্ট্রিমিং, সফটওয়্যার, ভিডিও গেম, ইলেকট্রনিকস, পোশাক, আসবাব, খাবার, খেলনাসহ বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য বিক্রি শুরু করে। এখন প্রায় সারা বিশ্ব থেকেই আমাজনের মাধ্যমে খুচরা পণ্য কেনা যায়।

এর আগে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের আর্থিক মূল্য দাঁড়ায় এক ট্রিলিয়ন ডলারে। বিশ্বের প্রথম কোনো পাবলিক কোম্পানির আর্থিক মূল্য এক ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
অ্যাপল বা অ্যাপল ইনকরপোরেটেড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিগত কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের তৈরি ম্যাকিন্টশ কম্পিউটার তৈরির মাধ্যমে বেশি পরিচিতি লাভ করে। আধুনিক কম্পিউটারের মধ্যে রয়েছে আইম্যাক, ম্যাকবুক এয়ার, ম্যাকবুক প্রো ও দ্য ম্যাকবুক। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম আইওএসের মাধ্যমে তৈরি করে আইফোন, আইপ্যাড ও আইপড।