জনপ্রিয় হচ্ছে হাইব্রিড গাড়ি

.
.

বাংলাদেশে গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। গত কয়েক বছরে এ দেশের গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হাইব্রিড গাড়ি। এ গাড়ি যেমন তেলে চলে তেমনি ব্যাটারিতে চলারও ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি এসব গাড়ি জ্বালানি তেল সাশ্রয়ী ও দ্রুতগতির। যেখানে সাধারণ একটি গাড়ি প্রতি লিটার তেলে ঘণ্টায় গড়ে সাত থেকে আট কিলোমিটার চলে, সেখানে হাইব্রিড গাড়ি চলে ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার।
জানতে চাইলে হাইব্রিড গাড়ির নানা দিক ব্যাখ্যা করেন নাভানা লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান হামিদুর রহমান ও হোন্ডা গাড়ি বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ডিএইচএস মোটরসের বিক্রয় বিভাগের প্রধান ফারহান সামাদ হাসান।
হামিদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের গাড়ির বাজারে হাইব্রিড গাড়ি নতুন সংস্করণ। এ গাড়ি তেলে যেমন চলে তেমনি এতে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি। গাড়ি যখন তেলে চলতে থাকে, তখন আলাদাভাবে ব্যাটারি রিচার্জ হতে থাকে। ব্যাটারি চার্জ হয়ে গেলে তখন তেলের লাইন আপনা-আপনিই বন্ধ হয়ে যায়। তখন গাড়ি চলতে থাকে ব্যাটারির সাহায্যে। এর ফলে জ্বালানি তেল সাশ্রয় হয়। সাধারণ একটি গাড়ি প্রতি লিটারে যেখানে সাত থেকে আট কিলোমিটার চলে, সেখানে হাইব্রিড গাড়ি যায় ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার।
ফারহান সামাদ হাসান জানান, হাইব্রিড গাড়িগুলো ১৫০০ সিসির ইঞ্জিন ক্ষমতার হলেও তা ১৮০০ সিসির সুবিধা দেয়।
তবে দামের কারণে পরিবেশবান্ধব এ ধরনের গাড়ির বিক্রি আশানুরূপ বাড়ছে না বলে জানান বিক্রেতারা। তাঁরা জানান, বাংলাদেশে যখন প্রথম হাইব্রিড গাড়ি আমদানি করা শুরু হয়, তখন সরকারের পক্ষ থেকে বেশ সহযোগিতা করা হয়েছিল। সে সময় এ ধরনের গাড়ির ১৫০০ থেকে ২৫০০ সিসির ক্ষেত্রে শুল্ক হার ছিল ৬১ শতাংশ। কিন্তু গত অর্থবছরে সিসিভেদে তা বাড়িয়ে ১৫৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। ফলে হাইব্রিড গাড়ি বিক্রি কমে যায়। তাই শুল্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া দাবি তাঁদের।