আসুন সেবা করি

সেবাই পরম ধর্ম। এই সেবার মানসিকতা গড়ে তোলার জন্য টু পয়েন্ট স্টুডিও তৈরি করেছে হাসপাতাল নিয়ে সিমুলেশন গেম টু পয়েন্ট হসপিটাল। গেমারকে একটি হাসপাতালে প্রশাসকের ভূমিকা পালন করতে হবে এবং অসুস্থ রোগীদের নিরাময় করতে হবে। এর জন্য হাসপাতাল নির্মাণের প্রথম থেকে শুরু করে সব কাজ গেমারকে যত্নের সঙ্গে করতে হবে। কারণ কোনো একটা সমস্যা হলে হাসপাতাল পরবর্তী সময়ে আর সফলতার মুখ দেখবে না।
প্রাথমিক কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে রোগীদের ও কর্মীদের জন্য টয়লেট, স্টাফরুম, অভ্যর্থনা ডেস্ক, ক্যাফে এবং বসার জন্য ভবনের সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা। এর পরপরই নতুন জমিতে হাসপাতাল সম্প্রসারণ, চিকিৎসক নিয়োগ, নার্সিং, জেনারেটর বসিয়ে হাসপাতালটাকে ব্যবসায়িকভাবে সফল করে তুলতে হবে। পাশাপাশি রোগীদের রোগ নির্ণয় শুরু হওয়ার আগেই অপেক্ষার ঘর, জরুরি বিভাগ ইত্যাদির প্রতি নজর রাখতে হবে। এর থেকে জরুরি বিষয় হচ্ছে হাসপাতালে খ্যাতির রেটিং রয়েছে, এটি কতটা ভালো কাজ করছে তার ওপর নতুন রোগীদের আসার সম্ভাবনা বাড়ে। ফলে রেটিং যাতে ঠিক থাকে তা সব সময় খেয়াল রাখতে হবে।
হাসপাতাল গড়ে তোলার চেয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ বেশি জটিল; সমস্ত কর্মী (শুধু ডাক্তার নয়) তাদের নতুন দক্ষতা প্রদান বা একটি নির্দিষ্ট বিভাগে তাদের ক্ষমতা উন্নত করতে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়মিত কাজের একটা অংশ হিসেবে করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, সাধারণ অনুশীলনকারীরা নির্দিষ্ট অসুস্থতা বা কর্মীদের নির্দিষ্ট দক্ষতা দিয়ে রোগীদের আকর্ষণ করে হাসপাতালের আয় বাড়ানো যেতে পারে। গেমটির নতুন উপাদানগুলো হচ্ছে স্টার রেটিংস, হাসপাতালের ফ্লোর এবং রুমের সম্মান অন্তর্ভুক্ত করা।
প্রতিটি হাসপাতালে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার রোগীর সংক্রমণ, হাসপাতালের চিকিৎসা বা শয্যার মূল্য বৃদ্ধি, নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন এবং হাসপাতালের স্তরের বৃদ্ধি যা অবশেষে হাসপাতালের স্টার রেটিং বৃদ্ধি করে। এক-তারকা রেটিং অর্জনের ফলে গেমার পরবর্তী হাসপাতালে অগ্রসর হতে পারে, যদিও তারা দুই বা তিন তারের রেটিং বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত লক্ষ্য পূরণ করে তাদের বর্তমান হাসপাতাল নির্মাণ চালিয়ে যেতে পারবে।
গেমটিতে অনলাইন লিডারবোর্ড এবং প্রতিযোগিতামূলক মাল্টিপ্লেয়ার মোড রয়েছে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি একটি ছোট ইউটিউব ভিডিওতে গেমের ভিজ্যুয়াল এবং হাস্যরসাত্মক ভিডিও দেখিয়ে সূচনা ঘোষণা করা হয়েছিল। খেলাটি ৫ ডিসেম্বর ছাড়া হয়।