বাতিও স্মার্ট

দূর থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় বাতি
দূর থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায় বাতি

প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে সবখানেই। ফিলামেন্ট বাতির বদলে এলইডি বাতির চলও নতুন নয়। তবে এলইডির সঙ্গেও এখন যুক্ত হয়েছে নানা রকম প্রযুক্তি। বাতিও হয়ে উঠেছে স্মার্ট। বাজার ঘুরে জানানো হচ্ছে বাসা–বাড়ি, অফিস, কারখানার নানারকম বাতির খোঁজ।

সুপার স্টার
সুপার স্টার লাইটিংয়ের এলইডি বাতিতে চিপ ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির উপবিপণন ব্যবস্থাপক ইমরানুল কবির বলেন, ‘সুপার স্টার এলইডি বাল্বে ব্যবহৃত হয় এসএমডি চিপ, যা নিশ্চিত করে দীর্ঘস্থায়ী ও সঠিক মাত্রার আলো, যা চোখের জন্য ভালো।’ এ ছাড়া নিত্যনতুন চাহিদার কথা চিন্তা করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সুপার স্টারের বাতিতে আরও আছে মাল্টিকালার ও মাল্টিওয়াট এলইডি। এর মাধ্যমে একই লাইট থেকে ভিন্ন রঙের ও ভিন্ন ওয়াটের আলো পাওয়া যায়।

ট্রান্সটেক
এলইডি বাতি মানেই সাধারণ বাতির তুলনায় ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্রান্সটেক লাইটিং বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে গুণগত মানসম্পন্ন ও উন্নত মানের এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি। বাতির বেলায় ওয়াট এবং লুমেন (আলোর পরিমাণ) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রান্সটেক লাইটিং বাংলাদেশে সঠিক ওয়াট এবং সঠিক লুমেনের লাইট সরবরাহ করে।
স্মার্ট সিরিজ: যেসব এলইডি বাতি আলো দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেয়, সেসবকে বলা হচ্ছে স্মার্ট এলইডি লাইট। ট্রান্সটেক এলইডি স্মার্ট সিরিজে আছে চার ধরনের স্মার্ট লাইট।
ব্যাকআপ বাল্ব: যা বিদ্যুৎ চলে গেলেও ন্যূনতম দুই ঘণ্টা আলো দিতে সক্ষম এবং সঙ্গে থাকছে এক বছরের ওয়ারেন্টি। বাতিটি সাধারণ অবস্থায় জ্বলাকালীন চার্জ গ্রহণ করবে এবং বিদ্যুৎ চলে গেলে নিজ থেকেই জ্বলে উঠবে। বিদ্যুৎ না থাকলেও বাতিটি অন–অফ করা যায়। এই বাতি বেশি গরমও হয় না। চাইলে বহন করা যায়।
মশারোধী বাল্ব: বাতিটির মসকিউটো মোড চালু করে মশা প্রতিরোধ করা যায়। এ জন্য বাল্বটি অফ করতে হবে এবং ১০ সেকেন্ডের মধ্যে আবার অন করুন। সঠিক কার্যকারিতা পেতে প্রতি ১৫০ বর্গফুটে একটি ৯ ওয়াটের বাতি করতে হবে। জানালার বিপরীতে লাইটটি রাখতে হবে। মসকিউটো মোডে বাতিটি হালকা হলুদ আলো দেবে। আবার মসকিউটো মোড অফ করলে সাদা আলোই ছড়াবে।
মাল্টিওয়াট বাল্ব: সাধারণত একটি বাতি নির্দিষ্ট ওয়াটের আলো দেয়। ট্রান্সটেকের এলইডি মাল্টিওয়াট লাইট পছন্দমতো আলো দিতে সক্ষম। সুইচ অফ–অন করার মাধ্যমে ওয়াট পরিবর্তন করতে পারেন। একটি বাতিতে ১২, ৪.৫ ও ১.৬ ওয়াটের আলো পাওয়া যাবে। আবার ৯ ওয়াটের বাতিতে পাওয়া যাবে ৯, ৩.৭৫ ও ১.৪ ওয়াট।
বহুরঙা বাতি: ট্রান্সটেক এলইডি মাল্টিকালার বাল্ব তিন রঙের আলো দেয়। কুল ডে লাইট, ওয়ার্ম হোয়াইট ও ন্যাচারাল হোয়াইট—এই তিনটি আলাদা রং পাওয়া যাবে।

এলইডি বাতিতেও যুক্ত হয়েছে নানারকমের প্রযুক্তি। ছবি: সংগৃহীত
এলইডি বাতিতেও যুক্ত হয়েছে নানারকমের প্রযুক্তি। ছবি: সংগৃহীত

ওয়ালটন
দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন ৩ ওয়াট থেকে ১০০ ওয়াট পর্যন্ত মোট ৯৩ ধরনের ব্যাপক বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী এলইডি লাইট উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।
প্রযুক্তিনির্ভর বাতি: ওয়ালটনের রয়েছে ৭ থেকে ১২ ওয়াট পর্যন্ত রিচার্জেবল বাতি। এগুলোতে ২ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণ বাল্বের মতো এগুলো ব্যবহার করা যাবে। এ সময় ব্যাটারি চার্জ হবে। বিদ্যুৎ চলে গেলে ৯০ থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত আলো দিতে পারবে। বিদ্যুৎ না থাকা অবস্থায় ব্যবহার করতে না চাইলে লাইট বন্ধ করে রাখা যাবে। দাম: ৩০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত।
সাধারণ বাতির পাশাপাশি ওয়ালটনের রয়েছে দূরনিয়ন্ত্রিত (রিমোট কন্ট্রোলড) এলইডি লাইট। একটি রিমোর্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০টি বাতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রিমোট দিয়ে আলোর মাত্রা নির্ধারণও করা যায়।
ওয়ালটন স্মার্ট এলইডি বাতিতে আছে মোশন সেন্সর, লাইট লেভেল সেন্সর, ওয়াই–ফাই ও ব্ল–টুথ নিয়ন্ত্রণ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্মার্ট লাইট যেকোনো জায়গা বা দূরত্ব থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।