২০১৮ সালে বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার নিয়ে বিজ্ঞানচিন্তার পাবলিক লেকচার

বিজ্ঞানচিন্তা
বিজ্ঞানচিন্তা

বরাবরের মতো এবারও নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সেই অক্টোবরেই। চলতি মাসে বিজয়ীদের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সুইডেনের রাজা। বিজয়ীদের মধ্যে ছিলেন আট বিজ্ঞানী। চিকিৎসাশাস্ত্রে দুজন নোবেল পেলেও পদার্থবিদ্যা আর রসায়নেও ছিল চিকিৎসা ক্ষেত্রের জয়জয়কার। কিন্তু কেন এই আট বিজ্ঞানী নোবেল পেলেন? তাঁদের আবিষ্কার কী অবদান রেখেছে মানবকল্যাণে? সেসব নিয়েই এক পাবলিক লেকচারের আয়োজন করেছে বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তা। লেকচারটি আয়োজিত হবে আজ সোমবার বিকেল চারটায় রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় গ্রন্থাগারের সেমিনার কক্ষে (নিচতলা)।

লেজারপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন আর্থার অ্যাশকিন, জেরার্ড মরো ও ডোনা স্টিকল্যান্ড। এ বিষয়ে বিজ্ঞানচিন্তার এই পাবলিক লেকচারে কথা বলবেন বুয়েটের তড়িৎকৌশল ও ইলেকট্রনিকস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার।

চিকিৎসায় এ বছর নোবেল দেওয়া হয়েছে বিশেষ চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য। দুই নোবেল জয়ী পি এলিসন ও তাসুকু হোনজা। তাঁরা শরীরে ইমিউন সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে ক্যানাসার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। এ বিষয়ে সাধারণ পাঠকদের জন্য কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের প্রভাষক ড. মুশতাক ইবনে আয়ুব।

অন্যদিকে, এ বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন ফ্রান্সেস এইচ আর্নল্ড, জর্জ পি স্মিথ ও গ্রেগরি পি উইন্টার। ডিএনএর বিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে সম্পূর্ণ নতুন একধরনের এনজাইম ও অ্যান্টিবডি তৈরি করেছেন এই বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে কথা বলবেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপেলো ডিএক্সের জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. কামরুল হাসান।

এ আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তাদের প্রশ্ন করার সুযোগও পাবেন পাঠকেরা।

উল্লেখ, মানববিধ্বংসী মারণাস্ত্র বানাতে গিয়ে বোধোদয় হয়েছিল ডিনামাইটের আবিষ্কারক আলফ্রেড নোবেলের। বিস্ফোরক ব্যবসা থেকে আয় করা ধনসম্পদের পাহাড় তাই মানবকল্যাণে ব্যয়ের কথা ভাবেন। মৃত্যুর আগে উইল করে যান সম্পত্তির। সারা বিশ্বে মানবকল্যাণে যাঁরা বিশেষ অবদান রাখবেন, তাঁদের জন্য পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে যান উইলে। নোবেলের মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সাল থেকেই সুইডিশ একাডেমি নোবেল পুরস্কার চালু করে। সেই পুরস্কারের অর্থের জোগান আসে নোবেল রেখে যাওয়া সম্পত্তির আয় থেকেই। অল্প দিনের মধ্যেই নোবেল পুরস্কার পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক খেতাবে। আজ তো বিশ্বে বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, অর্থনীতিবিদ ও সমাজকর্মীদের কাছে নোবেল পরম প্রার্থিত পুরস্কার।