ডিজিটাল নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার

‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব-আমরা কি প্রস্তুত?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত।
‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব-আমরা কি প্রস্তুত?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমাদের গৃহীত নানা পদক্ষেপ যেমন—একটি বিস্তৃত ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ ডিজিটাল রূপান্তরে সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপ বিশ্বের নানা দেশ অনুকরণ করছে। বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্পবিপ্লব গ্রহণ করতে প্রস্তুত। আমরা এ বিপ্লবের জন্য আবশ্যক তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা ও জনবল তৈরিতে প্রধান গুরুত্ব দিয়েছি। এ ছাড়া ডিজিটাল সিকিউরিটি নিশ্চিত করাও অগ্রাধিকার হিসেবে আছে।

তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন গতকাল শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন মিলনায়তনে ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব-আমরা কি প্রস্তুত?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেন।


আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসীর, সরকারের এটুআই প্রকল্পের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এবং এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশনের (অ্যাসোসিও) সদ্য বিদায়ী সভাপতি আবদুল্লাহ এইচ কাফি।

ইজেনারেশনের পরিচালক (ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন) মুশফিক আহমেদ অনুষ্ঠানে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এরপর সব আলোচকের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

মুশফিক আহমেদ বলেন, ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ বা পরবর্তী শিল্পবিপ্লব আলোচিত শব্দের চেয়েও অনেক কিছু। বিশ্বে কানেক্টেড ম্যানুফ্যাকচারিং অথবা স্মার্ট ফ্যাক্টরির আইডিয়া দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বাংলাদেশেও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ভালোভাবে শুরু হয়েছে। ভোক্তা এবং ব্যবসাগুলো এআই, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), ব্লকচেইন, ডাটা অ্যানালাইটিক্স ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। উন্নত অর্থনীতির বাংলাদেশের দিকে অগ্রযাত্রায় চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উন্নয়নের ধাপগুলোকে দ্রুতগতিতে টপকে যাবার সুযোগ এনে দিয়েছে।

ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সর্বশেষ প্রযুক্তি যেমন ব্লকচেইন, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি সেবা তৈরি করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের একেবারেই প্রাথমিক পর্যায় শুরু হয়েছে। আইডিয়া থেকে উৎপাদনের জন্য ‘নেক্সট প্রোডাকশন হাব’ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদেরকে চীনের সেনজেনের মতো বর্ধনশীল ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হবে।

ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, আমরা যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব টেকসই উন্নয়নকে গতিশীল করবে। স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং, অ্যানালাইটিক্স এবং আইওটি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পায়নে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা, বিডব্লিউআইটির সভাপতি লাফিফা জামাল এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আইইইইর চেয়ারম্যান সেলিয়া শাহনাজ। সভাপতিত্ব করেন ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান।