ফেসবুককে টপকে শীর্ষে হোয়াটসঅ্যাপ

ফেসবুকের জন্য একদিকে খারাপ খবর, আরেক দিকে সুখবর। তথ্য ফাঁস কেলেঙ্কারি, ভুয়া খবর ছড়ানোর ব্যর্থতা বা নির্বাচনে হস্তক্ষেপের মতো নানা বিষয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুকের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। তবে, ফেসবুকের অধীনে থাকা হোয়াটসঅ্যাপের অবস্থা কিন্তু যথেষ্ট ভালো। প্রথমবারের মতো ফেসবুককে ছাড়িয়ে গেছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারের ব্যবহার।

২০১৮ সালে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। গত বুধবার অ্যাপ্লিকেশন বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান অ্যাপ অ্যানির দ্য স্টেট অব দ্য মোবাইল ২০১৯ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুই বছর ধরে হোয়াটসঅ্যাপের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০ শতাংশ। ফেসবুকের প্রবৃদ্ধি সেখানে ২০ শতাংশ আর মেসেঞ্জারে প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ। ফেসবুকের আরেকটি অ্যাপ ইনস্টাগ্রামের প্রবৃদ্ধিও দুই বছর ধরে ভালো ছিল। এটি ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

অ্যাপ অ্যানির প্রতিবেদনে বলা হয়, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে ফেসবুক এখন আর সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ নয়। মাসিক ব্যবহারকারীর হিসাব ধরলে চ্যাট অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার ফেসবুককে টপকে গেছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক এ অ্যাপটি অধিগ্রহণ করে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুককে হটিয়ে শীর্ষে চলে আসে হোয়াটসঅ্যাপ। অবশ্য এরপর থেকে ফেসবুক ধীরে ধীরে তার অবস্থান ফিরে পাচ্ছে।

ফেসবুকের অধীনে থাকা অ্যাপগুলোর মধ্যে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে ইনস্টাগ্রাম। তবে, গত সেপ্টেম্বর থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন বিভাগে ব্যবহারকারীর যুক্ত থাকার বিষয়টি বিবেচনা ধরলেও তালিকার শীর্ষে থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যাপ অ্যানির তথ্য অনুযায়ী, মাসিক ব্যবহারকারীর হিসাবে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যাপ এটি। ব্যবহারবান্ধব ফিচার থাকায় এটি সহজে গ্রহণ করছেন ব্যবহারকারীরা।

ব্রাজিল, কানাডা, জার্মানি, ভারত, যুক্তরাজ্যের বাজারে শীর্ষস্থানে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের বাজারে শীর্ষে আছে স্ন্যাপচ্যাট। উইচ্যাট, লাইন, কাকাওটক অ্যাপ্লিকেশনগুলো চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারের শীর্ষে রয়েছে।

কোন অ্যাপে ব্যবহারকারীরা কতটা সময় কাটাচ্ছেন, সে হিসাব করেছে অ্যাপ অ্যানি। তারা দেখেছে, মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহারকারী যতটা সময় কাটান, এর অর্ধেকের বেশি সময় সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপে সময় কাটে তাঁদের। ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপে সময় কাটানোর হার বেড়েছে।