বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে তৈরি হচ্ছে প্রযুক্তিপণ্য

হাই টেক পার্ক পরিদর্শনে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও হাই টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম।
হাই টেক পার্ক পরিদর্শনে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও হাই টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির ওপর স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে’ আইওটি প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে দেশের দুটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে টায়ার ফোর ডেটা সেন্টার তৈরির কাজ চলছে। জুন মাস নাগাদ কাজ শেষ হবে। গতকাল বুধবার হাই-টেক পার্ক ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রথম প্রকল্প।

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, হাই টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম হাই-টেক পার্ক পরিদর্শনে আসেন। ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চালু করা বিশেষ কমিউটার ট্রেনে করে হাই টেক পার্ক স্টেশনে নামেন তাঁরা।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৯ সালের ১৭ জুন বিনিয়োগ বোর্ডের ১২ তম সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাই-টেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এখানকার অবকাঠামো তৈরির কাজ শেষ করেছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব মডেলে (পিপিপি) দুটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৪০ একর জমি দেওয়া হয়। ডেভেলপার কোম্পানি সামিট টেকনোপলিসের ৬০ হাজার বর্গফুট ফ্যাক্টরি ভবন এবং এক লাখ ৬৫ হাজার বর্গফুট সিগনেচার বিল্ডিং নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। টেকনোসিটির দুই লাখ বর্গফুট বিশিষ্ট মাল্টি-টেন্যান্ট বিল্ডিং নির্মাণকাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। পার্কটিতে একটি সার্ভিস বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে দুটি প্রতিষ্ঠান আইওটি পণ্য তৈরি করছে। চীনের সহযোগিতায় প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাই-টেক পার্কে গড়ে উঠছে টায়ার ফোর ডেটা সেন্টার। জুন মাসে এখানকার কাজ শেষ হবে।

হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রথম ধাপে ৯টি কোম্পানিকে ২০ দশমিক ৫০ একর ও দ্বিতীয় ধাপে ৯টি কোম্পানিকে ২৮ একর প্লট বরাদ্দ করেছে। ৪০ বছরের জন্য বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে রবি আজিয়াটা, জেনেক্স, বিজেআইটি সফটওয়্যার, ফেয়ার ইলেকট্রনিকস, কেডিএস গ্রুপ, ইন্টারক্লাউড, বিজনেস অটোমেশন, নাজডাক টেকনোলজিস এবং জেআর এন্টারপ্রাইজ বিনিয়োগের সুযোগ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এখাতে ১৪ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ডাটা সফট, আমরা হোল্ডিংস, ডেভ নেট লিমিটেড, স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, মিডিয়া সফট ডাটা সিস্টেম লিমিটেড, ইউ ওয়াই সিস্টেম লিমিটেড, এসবি টেল এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনিকম বাংলাদেশ অ্যান্ড সিস্টেক ডিজিটাল প্লট পেয়েছে।

হাই টেক পার্কে আইওটি পণ্য উৎপাদন।
হাই টেক পার্কে আইওটি পণ্য উৎপাদন।

হাইটেক পার্কে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে তারা মূলত হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, আইওটি, বিপিও, ট্রেনিং সেন্টার, ডেটা-সেন্টার, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন সংযোজন নিয়ে কাজ করবে।

হোসনে আরা বেগম বলেন, বিনিয়োগকারীদের নানা রকম সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৪টি প্রণোদনা সুবিধা দিচ্ছে সরকার। বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হচ্ছে। এখানে আইওটি পণ্য তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন হার্ডওয়্যার পণ্য এখানে সংযোজন শুরু হবে।