সিপিএ মার্কেটিং অনলাইনে আয়

>

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা অনেককেই এখন অনলাইন আয়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করে । বিশেষ করে তরুণদের অনলাইনে আয়ের ব্যাপারে আগ্রহের কমতি নেই। আর অনলাইনে আয়ের যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপায় আছে, তার একটি সিপিএ মার্কেটিং। তবে কাজ শুরুর আগে মাথায় রাখতে হবে যে সিপিএ মার্কেটিং মূলত করতে হবে বাংলাদেশের বাইরের নেটওয়ার্কে এবং ভাষা হবে ইংরেজি। 

সিপিএ কী?
সিপিএর পুরোটা হচ্ছে ‘কস্ট পার অ্যাকশন’। এখানে প্রতিটি নির্দিষ্ট অ্যাকশন বা কাজ সম্পন্ন করলে তার বিনিময়ে কমিশন পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট ফরম পূরণ, ই–মেইল সাইনআপ, অ্যাপ ইনস্টল করাসহ আরও অনেক কিছুই হতে পারে একেকটি সিপিএ মার্কেটিংয়ের কাজ। কাজের ধরনভেদে কমিশনের পরিমাণ কম–বেশি হয়। 

সিপিএ বিপণনের চার ধাপ
১. সিপিএ নেটওয়ার্কে নিবন্ধন করে লিংক তৈরি করা।

২. নিজস্ব ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো মাধ্যমে কনটেন্ট (বিষয়বস্তু) তৈরি করে লিংক প্রমোট করা

৩. প্রমোট করা লিংকের মাধ্যমে ভিজিটরের নির্দিষ্ট অ্যাকশন বা কাজ সম্পন্ন করা।

৪. কমিশন থেকে আয় করা। 

সিপিএ নেটওয়ার্ক
অনেক সিপিএ নেটওয়ার্ক আছে, সিপিএ মার্কেটিং শুরু করার জন্য। কাজ শুরু করার আগে প্রতিটি নেটওয়ার্কে নিবন্ধন করতে হয়। প্রাথমিক অবস্থায় সব নেটওয়ার্কে কাজের অনুমতি না–ও মিলতে পারে। শুরুতেই ম্যাক্সবাউন্টির মতো নেটওয়ার্কে চেষ্টা না করে যে নেটওয়ার্কগুলোতে সহজে কাজের অনুমতি পাওয়া যায়, সেখানে চেষ্টা করা উচিত। এক জায়গায় বিভিন্ন সিপিএ নেটওয়ার্ক ও সিপিএ প্রোগ্রাম নিয়ে জানতে offervault.com ও affpaying.com ওয়েবসাইট দেখতে পারেন। এমন আরও সাইট রয়েছে। 

কনটেন্ট তৈরি ও লিংক প্রমোশন
প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে আপনি কোন বিষয়বস্তু (কনটেন্ট) নিয়ে কাজ করতে চান। এটি হতে পারে স্বাস্থ্য, সাজসজ্জা বা প্রযুক্তিসহ নানা কিছু। কীভাবে সুন্দর করে কনটেন্ট তৈরি করে লিংক প্রমোট করতে হয়, তা জানুন। অন্য সিপিএ মার্কেটাররা কেমন কাজ করছে, তা জেনে আরও স্বতন্ত্র ও উন্নত মানের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।

নিজস্ব ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো জায়গায় কনটেন্ট তৈরি করে লিংক প্রমোট করলে প্রথমেই গুগল সার্চে র‌্যাংক করা সম্ভব না–ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কনটেন্ট (লিংক) বিভিন্নভাবে প্রমোশন করা যেতে পারে। যেমন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা, গুগল, ফেসবুক ও অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া, ই–মেইল মার্কেটিং করা, এসইও জোরদার করা ইত্যাদি। 

যা জানা উচিত
কাজ শুরুর আগে অবশ্যই সিপিএ প্রোগ্রামের শর্তগুলো জানতে হবে। ধরুন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যাংক যদি ক্রেডিট কার্ডের জন্য সিপিএ প্রোগ্রাম চালায়, তাহলে তারা শর্ত দিতে পারে ভিজিটর আমেরিকার হলেই কমিশন পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রমোট করা লিংক থেকে যদি অন্য কোনো দেশের ভিজিটর যায়, তাহলে লাভ নেই। 

• বাংলাদেশ থেকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায় কিনা।

• কোন কোন মাধ্যমে পেমেন্ট তোলা যায়।

• বাংলাদেশ থেকে পেমেন্ট তোলার ব্যবস্থা আছে কিনা

• কমিশন কত।

• সর্বনিম্ন কত কমিশন জমলে পেমেন্ট তোলা যায়।

• কত দিন পর পর পেমেন্ট তোলা যায় ইত্যাদি।