সোফিয়ার ছোট বোন

চুল নেই লিটল সোফিয়ার মাথাতেও
চুল নেই লিটল সোফিয়ার মাথাতেও

প্রযুক্তি দুনিয়ার খোঁজখবর রাখেন, অথচ সোফিয়ার নাম শোনেননি, এমন কেউ মনে হয় নেই। সোফিয়া হচ্ছে মানুষের মতো দেখতে সেই বিখ্যাত সৌদি নাগরিক যন্ত্রমানবী, যে ভারতের ফ্যাশন ম্যাগাজিন কসমোপলিটান–এর প্রচ্ছদে জায়গা পেয়েছে, হলিউড সুপারস্টার উইল স্মিথের সাথে ‘ডেট’-এ গিয়েছে এবং অসংখ্যবার টিভির পর্দায় যাকে দেখা গেছে! ২০১৭ সালে বাংলাদেশেও ঘুরে গেছে। এবার আপনার পরিবারের অংশ হতে বাজারে আসছে ‘লিটল সোফিয়া’, যাকে বলা হচ্ছে সোফিয়ার ছোট বোন!

আসছে সোফিয়ার ছোট বোন!

সোফিয়াকে যাদের ভালো লাগে, তাদের জন্য সুখবর আছে। নেচে দেখানো কিংবা কৌতুক শোনানোর বাইরেও অন্য কাজ করতে পারবে সোফিয়া। চাইলেই লিটল সোফিয়াকে আপনি আপনার পরিবারের সদস্য করে নিতে পারবেন। গত বছরের শেষের দিকে, সোফিয়ার জন্মদাতা প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবটিক্স পরিবারের সদস্য একজন বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন সোফিয়া দ্য টুনাইট শোতে উপস্থিত হয়ে তার ছোট বোনের সঙ্গে দুনিয়াকে পরিচয় করিয়ে দেয়।

ছোট্ট সোফিয়ার গড়ন এবং কাজের ক্ষেত্র

১৪ ইঞ্চি উচ্চতার ছোট্ট সোফিয়ার আছে জাপানি অ্যানিমেশন ছবির চরিত্রের মতো চোখ। আছে একটি রুপালি দেহ এবং টাকমাথা, যা তার বড় বোন সোফিয়ার মতোই স্বচ্ছ। সোফিয়ার মতো এই যন্ত্রমানবীরও আছে গান গাওয়া, হাঁটা–চলা, নাচানাচি, মুখ চেনা এবং কৌতুক শোনানোর প্রতিভা। তবে এই ছোট্ট সোফিয়ার মূল কাজটা হবে আরও শিক্ষণীয় কিছু।

কিকস্টার্টার কোম্পানির বিশেষ প্রচারণার তথ্যমতে, ছোট্ট সোফিয়ার থাকবে এমন একটি অ্যাপ, যার মাধ্যমে ৭ থেকে ১৩ বছরের শিশুদের মতো সুনির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের দ্বারা প্রোগ্রামিং করে তাকে ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। প্রচারণায় বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, শিশুদের, বিশেষ করে ছোট মেয়েদের মজার ছলে, নিরাপদে, উৎসাহব্যঞ্জক ও পারস্পরিক ক্রিয়াশীল পদ্ধতিতে “এসটিইএম” (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত), কোডিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়গুলো পরিচয় করিয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে লিটল সোফিয়া।’

শিশুদের বিভিন্ন বিষয় বোঝাতে পারে ছোট্ট এই রোবট
শিশুদের বিভিন্ন বিষয় বোঝাতে পারে ছোট্ট এই রোবট


লিটল সোফিয়ার দাম

অর্ডার দেওয়ার সময়ের ওপর ভিত্তি করে একটি লিটল সোফিয়ার দাম পড়বে ৯৯ থেকে ১৪৯ মার্কিন ডলার। এ বছর ডিসেম্বরেই লিটল সোফিয়াকে ব্যবহারকারীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চায় হ্যানসন। কিকস্টার্টারের প্রচারণার শুরুতে ৭৫ হাজার ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজে নেমেছিল হ্যানসন কোম্পানি। এ বছর জানুয়ারির মধ্যেই ৬০ হাজার মার্কিন ডলার উঠে গেছে। তাই বলা যায়, প্রচারণাটি সফলতার মুখ দেখতে যাচ্ছে।

সোফিয়াকে ঘিরে সাফল্যের আশা

যদিও শিক্ষাবিষয়ক রোবটের চেয়ে এই লিটল সোফিয়া অনেকটাই আলাদা, তবুও আধুনিক বিশ্বের জনপ্রিয় যন্ত্রমানবী হিসেবে এই ছোট্ট রোবটটির অনেক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে এটা অবশ্যই আশা করা যায় যে, পূর্বসূরিদের চেয়ে এই রোবটটি বেশি ভালো প্রভাব ফেলবে এবং রোবটিক্স নিয়ে কাজ করা পরের প্রজন্মের বিজ্ঞানীদেরও তা উৎসাহিত করবে।