৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ৫জি সুবিধা নিতে প্রস্তুত: ওরাকল

বর্তমানে ৯৭ শতাংশ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ৫ জির সুবিধা সম্পর্কে জানে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকলের গবেষণায় এ তথ্য মিলেছে। কীভাবে তারহীন এ প্রযুক্তির সুবিধা দিয়ে ব্যবসার আইওটি ও স্মার্ট ইকোসিস্টেম আনা যায়, ৯৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান সে বিষয়ে কৌশলগতভাবে পরিকল্পনা করছে।

৫জি নিয়ে বেশির ভাগ আলোচনা গ্রাহকদের ব্যবহৃত বিভিন্ন ডিভাইসকেন্দ্রিক হলেও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রযুক্তি গ্রাহকদের কতখানি সেবা দিতে প্রস্তুত, সেদিকে নজর দেয়।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ওরাকল ‘৫জি স্মার্ট ইকোসিস্টেমস আর ট্রান্সফরমিং দ্য এন্টারপ্রাইজ-আর ইউ রেডি?’ শীর্ষক একটি গবেষণা করে। এতে বিশ্বের মাঝারি এবং বড় প্রতিষ্ঠানের ২৬৫ জন আইটি ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। এতে ৫জি সম্পর্কে তারা কী ভাবছে এবং সামনে এর কী গুরুত্ব রয়েছে, সেটি দেখার চেষ্টা করা হয়।

ওরাকলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার ডগ সুরিয়ানো বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো স্পষ্টতই ৫জিতে বিনিয়োগ করতে চায়। এতে সফল হতে হলে আইটি ও ব্যবসাগুলোকে ৫জিকে শুধু আরেকটি ‘জি’ বা জেনারেশন হিসেবে না ধরে বরং এটিকে স্মার্ট ইকো-সিস্টেম চালু করার হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ব্যবসায়িক বিবর্তনে ৫জির ক্ষমতাকে ব্যবহার করতে পারে এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ৫জি সাহায্য করবে, সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত।’

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা জানান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫জির প্রভাব রয়েছে যার মধ্যে ৮৬ শতাংশ প্রভাব কর্মীদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে, ৮৪ শতাংশ খরচ কমাতে, ৮৩ শতাংশ গ্রাহকের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধিতে ও ৮৩ শতাংশ কৌশল বৃদ্ধিতে কাজ করে।

প্রতিষ্ঠানগুলো ৫জির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেয়, সেগুলো হলো—আনলকিং আইওটি পটেনশিয়ালিটি, নিউজ সার্ভিস মনিটাইজিং, প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন এবং নিরাপত্তা।

৫জির কার্যকর ভূমিকার জন্য ওরাকল লাইভ স্ট্রিমিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন, স্মার্ট হোমস অ্যান্ড বিল্ডিং, কানেকটেড ভেহিকলস, ইমার্সিভ গেমিং, অগমেন্টেড এবং ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গবেষণা করে থাকে।