তল্লাশি ছাড়াই সীমান্ত পার

বিমান বন্দরে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ছবি : রয়টার্স
বিমান বন্দরে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ছবি : রয়টার্স

সীমান্তে কাগজপত্রের একটা পরীক্ষা তো থাকেই, থাকে যান্ত্রিক বা অযান্ত্রিকভাবে দেহ তল্লাশির বিষয়। ধৈর্যের কঠিন পরীক্ষা দেওয়ার মতো দীর্ঘ লাইন তো আছেই। সব মিলিয়ে কারও কাছেই সীমান্ত পার হওয়ার বিষয়টি সুখকর নয়। এমন কোনো প্রযুক্তি কি নেই, যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়ে যাবে! সময় বাঁচবে। ঝামেলা কমবে?

আশার কথা হলো, এ রকম প্রযুক্তি এখন হাতের নাগালেই।

সড়ক, সমুদ্রপথ বা আকাশপথে সীমান্ত পার হওয়ার বিষয়টিকে সহজ করতে পারে নতুন প্রযুক্তিগত পদ্ধতি। এ পদ্ধতি অনুযায়ী কয়েক বছরের মধ্যেই অদৃশ্য সীমান্তের বিষয়টি বাস্তবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। মানুষ ও তাদের মালামাল কোথাও আটকে থাকবে না। চোখের আড়ালেই সব আনুষ্ঠানিকতা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে।

ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অদৃশ্য সীমান্তের ধারণাটি সব দেশের জন্যই উপযোগী হতে পারে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্য বের হয়ে গেলে (ব্রেক্সিট) যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের সীমান্তের জন্য অদৃশ্য সীমান্তের এ সিস্টেম দারুণ কাজে আসতে পারে। যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের কেউই চাইছে না সেখানে অবকাঠামোগত ব্যাপক উপস্থিতির কঠিন কোনো সীমান্ত তৈরি হোক, যেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ও কাস্টমসের ঝক্কি পোহাতে হবে। কিন্তু সীমান্ত খোলা রাখলে যুক্তরাজ্যের জন্য তাই আইনি সমস্যায় পড়তে হবে। এ সমস্যার কারণেই অনেকেই যুক্তরাজ্যকে ইইউ থেকে পৃথক দেখতে চাইছেন না।

প্রযুক্তি যদি স্থলপথের সীমান্তকে অদৃশ্য করে দিতে পারে এবং আইনগত পরীক্ষা–নিরীক্ষা অন্য কোথাও সম্পন্ন করার সুবিধা থাকে, তবে দুই পক্ষই সন্তুষ্ট হতে পারে। তবে এ ধরনের প্রযুক্তি যতই প্রতিশ্রুতিশীল হোক না কেন, তা প্রয়োগ করতে গেলে যেসব যন্ত্রপাতি লাগবে, তার খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। খরচের উদ্বেগটি আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রে অনেক বেশি। এসব উদ্বেগ সত্ত্বেও বিশ্বের অনেক সীমান্ত আছে, যেখানে নতুন প্রযুক্তিযুক্ত করে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এতে ওই সীমান্ত আরও উন্মুক্ত ও বাধাহীন হয়েছে। এ জন্য যে কাজটি করতে হয়েছে, তা হলে কাগজে–কলমের হিসাব থেকে কাগজ-কলম সরিয়ে ফেলতে হয়েছে। কোনো পণ্য শিপমেন্টের বিষয়ে ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়াকে কাগজ–কলমের পরিবর্তে পুরোপুরি ভার্চ্যুয়াল করে ফেলার বিষয়টি এর সঙ্গে যুক্ত। ইলেকট্রনিক কাস্টমস বা শুল্কের ছাড়পত্রের বিষয়টি আরও সহজ হয়েছে। অনলাইন ভ্যাট, শিপমেন্টের আগাম অনুমতির বিষয়গুলো এখন ভার্চ্যুয়াল প্রক্রিয়ায় সেরে ফেলে যায়।

উদাহরণ হিসেবে সুইজারল্যান্ডের কথা বলা যায়। ২০২৬ সালের মধ্যে ইউরোপের সঙ্গে তাদের সীমান্তের সব ধরনের কার্যক্রম ডিজিটাইজ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সব ধরনের কাস্টমস সেবাকে একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালের আওতায় এনেছে, যা ড্যাজআইটি নামের পরিচিত। এটি ৪০ কোটি মার্কিন ডলার একটি কর্মসূচির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এর সুবিধা হচ্ছে পর্যটকেরা স্মার্টফোন ও ট্যাবের মাধ্যমেই বিদেশে তাঁদের কেনাকাটার তথ্য জানাতে পারবেন। এ ধরনের ডিজিটাইজ সিস্টেম চালু করতে গেলে যে প্রযুক্তি লাগবে, তা কিন্তু এখন চলে এসেছে। এর নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে সুরক্ষা দেওয়া হবে।

ব্লকচেইন হচ্ছে তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ ও উন্মুক্ত পদ্ধতি (এএফপি)। বিশ্বজুড়ে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে তথ্য বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয়। গত বছরের মে মাসে সিঙ্গাপুর পণ্য আনা নেওয়ার জন্য ব্লকচেইনভিত্তিক একটি পদ্ধতি চালু করেছে। স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভিকার্গো ক্লাউড ওই সিস্টেম উন্নয়ন করেছে। এর মাধ্যমে একটি মোবাইল ফোনের অ্যাপ দিয়ে পণ্যর গায়ে সেঁটে দেওয়া কিউআর কোড স্ক্যান করা যায়। ওই অ্যাপ দিয়ে পণ্যের গায়ে লাগানো কোড স্ক্যান করলে তা এর সনদ দেখাতে পারে। সিঙ্গাপুর ছাড়াও হংকং, রটারডাম, ফিলাডেলফিয়ার মতো অন্যান্য জায়গাতেও ব্লকচেইনভিত্তিক প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ হচ্ছে। এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় ট্রেডলেন্স। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএম, ডেনমার্কের শিপিং প্রতিষ্ঠান মেয়ার্কস যৌথভাবে ওই প্রক্রিয়া চালু করেছে। ট্রেডলেন্স মূলত পণ্যবাহী জাহাজের কনটেইনারের বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক তথ্যে ঢোকার সুবিধা দেয়। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, বন্দর পরিচালক ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ তথ্য দিতে পারে এটি।

ব্লকচেইন ব্যবহারের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে কোনো কিছু রদবদল করা হলে তা তাৎক্ষণিক তথ্য দিতে পারে। যখনই পণ্যের সঙ্গে যুক্ত কোনো কোড বা সেন্সর স্ক্যান করা হবে, সে ঘটনাটি ব্লকচেইনে লগইন হয়ে যাবে এবং অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর মধ্যে পণ্যের অবস্থানগত তথ্যও থাকতে পারে। তবে সব ধরনের সিস্টেমেরই কিছু ফাঁকফোকর থাকে। তাই ব্লকচেইনের মতো নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করার পরও তা বাস্তবে পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে। তাই সীমান্তে কোন পণ্য পার হচ্ছে, তা দেখার জন্য সেখানে ছোটখাটো স্থাপনা যুক্ত করার প্রয়োজন হতে পারে।

এর মধ্যে সুইডেন ও নরওয়ে তাদের সীমান্তে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। এ সীমান্তের বিশাল অংশ ভ্রমণকারীদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। সেখানে অটোমেটেড নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ ক্যামেরা (এএনপিআর) বসানো হয়েছে, যা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার সব গাড়ি পর্যবেক্ষণ করতে পারে। কোনো গাড়িকে সন্দেহজনক মনে হলে কর্তৃপক্ষ তা শনাক্ত করতে পারে। সেখানে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে আগেই কাস্টমস পরিশোধ করা তথ্য পৌঁছে যায়। কিছু ক্ষেত্রে অনেক জাহাজকে মানুষ নেই—এমন ক্রসিং পার হতে দেখা যায়। তবে অধিকাংশ পণ্যবাহী লরিকে বিস্তারিত পরীক্ষা করানোর জন্য চেকপোস্টের মধ্য দিয়েই যেতে হয়। তবে খুব বেশি ব্যস্ত না থাকলে ওই চেকপোস্টে কয়েক মিনিটের বেশি সময় লাগে না।

সুইডেনের শুল্ক বিশেষজ্ঞ লার্স কার্লসন বলেন, সীমান্ত পার হওয়ার জন্য সময় বাঁচাতে পারে এমন প্রযুক্তিগুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে। শুরুতে এ ধরনের একটি পদ্ধতি চালু করতে গেলে ডকুমেন্টেশন ও পেমেন্টের জন্য পরিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে আগে নিবন্ধন করা কোম্পানিগুলোকে বিশ্বস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। তাদের প্রতিষ্ঠানের বাড়তি তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। বিশেষ করে গাড়ি ও এর চালকের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। চালকের বায়োমেট্রিক তথ্য ও লাইসেন্সের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। যখন ওই লরি সীমান্তের কাছে আসবে, তখন তা ক্যামেরা শনাক্ত করতে পারবে। রাস্তার পাশে বসানো অন্যান্য সেন্সর চালকের মোবাইল ফোনের থাকা কোড শনাক্ত করতে পারবে। এতে তাঁর পরিচয় শনাক্ত হবে। এ সিস্টেম ওই চালককে একটি গ্রাহক নোট বার্তা হিসেবে পাঠাবে এবং কর্তৃপক্ষকে সীমান্ত পার হওয়ার বিষয়টি অবগত করবে। সীমান্তে যদি কড়াকড়ি করতে হয়, তবে ওই বার্তা গেলে তবেই সীমান্তের দরজা খুলবে—এমন পদ্ধতিও চালু করা যেতে পারে।

এখন পর্যন্ত পুরোপুরি উন্মুক্ত সীমান্ত তৈরির জন্য কোনো দেশেই এত প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়নি। এর বাধা অবশ্য প্রযুক্তিগত নয়। এর সমস্যা হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতার অভাব। এ ধরনের প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে গেলে শুল্ক দপ্তরের সঙ্গে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা থাকতে হবে। তা না হলে বিশ্বস্ত কোম্পানি নির্বাচনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি হবে। এ ধরনের সমস্যা এড়ানো গেলেও কালোবাজারিদের ধরার বিষয়টি দুশ্চিন্তায় ফেলতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রও সহযোগিতা করবে প্রযুক্তি। প্রযুক্তি, বিশেষ করে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও স্যাটেলাইটের সাহায্য নিয়ে ব্যক্তি, পণ্য ও গাড়ি কোথায় যাচ্ছে, তা সহজেই বের করে ফেলা সম্ভব। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কার্গো পৌঁছেছে কি না, তা যাচাই করার ক্ষমতা চলে যাবে কর্তৃপক্ষের হাতে।

জাপানের প্রতিষ্ঠান ফুজিতসু এমন প্রযুক্তি তৈরি করছে, যা নম্বর প্লেট পড়ার পাশাপাশি কনটেইনারের থাকা চিহ্ন শনাক্ত করতে পারে। এতে লাগানো সিল কোনোভাবে ঘষামাজা করা হয়েছে কি না, তা ধরতে পারে। এতে ব্যবহৃত আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স পদ্ধতিতে পণ্যের পাশাপাশি ব্যক্তির চেহারা শনাক্ত করার বিষয়টিও শেখানো যায়।

সব ধরনের প্রযুক্তিসুবিধা থাকলেও একটা পর্যায়ে সরাসরি পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। তবে তা সীমান্ত পার হওয়ার সময় হতে হবে—এমন কথা নেই। যদি তথ্যের কোনা গরমিল থাকে, তবে অন্য কোনো জায়গায় গাড়ি ধরা যেতে পারে। মোবাইল কাস্টমস ইউনিট যেকোনো জায়গায় পরীক্ষা চালাতে পারে। হাতে ধরা ডিভাইস দিয়ে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকেই পরীক্ষা চালানো যায়। পণ্যের কার্টন বা ব্যাগে লাগানো স্মার্ট ট্যাগ পরীক্ষা করে এ তথ্য জানা যেতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য পদ্ধতিও আছে। এর মধ্যে কনটেইনার এক্স-রে স্ক্যানিং দিয়ে দ্রুত বিস্তারিত বিষয় স্ক্যান করা যায়। এসব স্ক্যানিংয়ের উপাদান মোবাইলে পাওয়া যায়।

সীমান্ত কারা অতিক্রম করছে, তাদের ওপর নজর রাখতে যে সিস্টেম তৈরি করা হবে, তার ব্যাপক ও বিস্তৃত ব্যবহারের সুযোগও রয়েছে। একটি ধারণা হচ্ছে ডিজিটাল ট্রাভেল টোকেন প্রদান, যার মাধ্যমে দ্রুত এয়ারপোর্ট টার্মিনাল পার হওয়া যায়। সুইস টেকনোলজি গ্রুপ সিটা ল্যাব এ ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করেছে। এ পদ্ধতিতে ভ্রমণকারীর মোবাইল ফোনে টোকেন থাকে, যার মধ্যেই এনক্রিপ্ট করা বিভিন্ন তথ্য ও পাসপোর্টের বিস্তারিত যুক্ত থাকে। যখন কোনো ভ্রমণকারী চেকপোস্টে আসেন বা কোনো কর্মকর্তা তাঁকে থামান, তখন ওই অ্যাপ একটি কিউআর কোড তৈরি করে। তখন ওই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই তার বিস্তারিত জানা যায়। এগুলো একটি ব্লকচেইনের কোনো ডেটাবেইসে সুরক্ষিত থাকে। যাঁরা স্থলপথ দিয়ে ভ্রমণ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এ ধরনের টোকেন ব্যবহার করা যায়।

দূরবর্তী সীমান্তে যেসব স্থানে স্বল্প অবকাঠামো থাকে, সেখানে সীমান্তের জটিলতা এড়াতে এ পদ্ধতি নেওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করতে পারে রাজনীতি। এ ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ করতে গেলে ব্যাকগ্রাউন্ডে যে নজরদারির প্রয়োজন হবে, তা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। তবে প্রযুক্তিগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে আধুনিক সীমান্ত পারাপারের পদ্ধতি গড়ে তুলতে পারলে সবার সুবিধা বাড়বে।

বাংলাদেশে ব্লকচেইনের সম্ভাবনা
বাংলাদেশেও ব্লকচেইনের মতো প্রযুক্তি প্রয়োগে নতুন সম্ভাবনা দেখেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, ‘আমরা দেখছি, বিশ্ব খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে আমরা তার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। ব্লকচেইন ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এটা টেকনোলজি হিসেবে এর থেকেও অনেক বেশি। ব্লকচেইন একটি ডিসেন্ট্রালাইসড টেকনোলজি। তাই এটি সমগ্র পরিবহন, সরবরাহ ও চেইনে সর্বাধিক স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা অর্জনের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আসে। উদাহরণস্বরূপ, যদি ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিপিং ট্র্যাক করা হয়, তবে কাস্টমস সেক্টর দেশের আমদানি ও রপ্তানি সম্পর্কে আরও জ্ঞান ও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। ব্লকচেইন এ রকম অনেক সেক্টরকেই কার্যকর করে সম্পূর্ণ জবাবদিহি নিয়ে আসে।’