ফেসবুকে প্রাইভেসিকে গুরুত্ব দেবেন জাকারবার্গ

মার্ক জাকারবার্গ
মার্ক জাকারবার্গ

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, তিনি প্রাইভেসিকেন্দ্রিক ফেসবুক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চান। তাঁর বিশ্বাস, নিরাপদ ব্যক্তিগত বার্তা আদান–প্রদান করার সেবা উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হবে। সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে জাকারবার্গ তাঁর লক্ষ্যের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

ফেসবুকের হাতে মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সেবা আছে, তবে এতে বার্তা এনক্রিপ্ট–সুবিধা যুক্ত করলে নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ আয়ের সুযোগ কমবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি ফেসবুক ঘিরে বেশ কিছু তথ্য ফাঁস ও কেলেঙ্কারির কারণে সমালোচনা হচ্ছে।

জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম মানুষকে বন্ধু ও কমিউনটির সঙ্গে তাদের পছন্দের ভিত্তিতে যোগাযোগের সুযোগ করে দেয়। কিন্তু মানুষের এখন ব্যক্তিগত ঘরের মতো ডিজিটাল ক্ষেত্রেও একান্ত যোগাযোগের সুবিধা চাওয়া বেড়েছে। তাই তিনি সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে প্রাইভেসিকেন্দ্রিক করতে চান এবং তথ্য সংরক্ষণব্যবস্থাকেও নিরাপদ করতে চান। প্রাইভেসি রক্ষার এ লক্ষ্য অর্জনে যেসব দেশ বাক্‌স্বাধীনতা লঙ্ঘন ও মানবাধিকার রক্ষা না করার ঘটনায় দুর্বল, তাদের স্পর্শকাতর তথ্য সংরক্ষণ করা হবে না। এ লক্ষ্য অর্জনে কয়েকটি দেশে ফেসবুক বন্ধ হতে পারে বা অনেক দেশে কার্যক্রম চালানো কঠিন হতে পারে। বিষয়টি মেনে নিতে প্রস্তুত।

এনক্রিপ্ট বার্তা আদান–প্রদানের বিষয়টি ব্যবসার জন্য নতুন টুল তৈরি হবে বলে মনে করেন জাকারবার্গ। অনলাইন পেমেন্ট ও কমার্স খাতে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

কবে নাগাদ এ লক্ষ্যে কাজ শুরু হবে, তার সময়সীমা বেঁধে দেননি জাকারবার্গ। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এ সুবিধা চালু হতে পারে।

জাকারবার্গ বলেছেন, ‘আমি মনে করি, মানুষ যাতে ব্যক্তিগতভাবে কথাবার্তা বলতে পারে এবং মুক্তভাবে কথাবার্তা চালাতে পারে, সে লক্ষ্য আমাদের কাজ করা উচিত। পৃথিবীকে যদি আমরা সেদিকে নিতে পারি, তবে একটা পার্থক্য গড়ে দেওয়া যাবে।’