১০ জোনে প্রদর্শনী

বেসিস
বেসিস

বেসিস সফটএক্সপোতে এবার প্রায় ২৫০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। পুরো আয়োজনে প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও ধরন অনুযায়ী ১০টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে জোন। মেলায় থাকছে মোট ১০টি জোন।

সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদর্শনী জোন
* অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ১০৯
বেসিস সফটএক্সপোর প্রদর্শনী এলাকার ১০টি জোনের মধ্যে সফটওয়্যার শোকেসিং জোন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর তৈরি বিভিন্ন পরীক্ষিত সফটওয়্যার দেখানো হবে। ব্যাংকিং সমাধান থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য খাত, উত্পাদন খাতসহ সব ধরনের সফটওয়্যার স্থান পাবে।

ভ্যাট জোন
* অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ৮
বছরে ৫ কোটি টাকা বা তার বেশি রাজস্ব আয় করা প্রতিষ্ঠানকে বিক্রয় বা লেনদেন তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনুমোদিত সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। এ বছর থেকেই এনবিআর এ নিয়ম চালু করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব নিয়ম মেনে ১১টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট সফটওয়্যার তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে কেনাকাটা মালের ভ্যাটে হিসাব করা যাচ্ছে সহজে। আবার প্রস্তুতকৃত পণ্যের ভ্যাটসহ সঠিক দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করে উপযুক্ত মুনাফাও পাওয়া যাচ্ছে। দেশের ভ্যাট আইন অনুসারে হিসাবে গরমিলও থাকছে না। কত টাকা ভ্যাট সরকারে কোষাগারে যাবে, সেটাও থেকে যাচ্ছে সফটওয়্যারের হিসাবে।

ভ্যাট জোনে থাকবে এ ধরনের আটটি প্রতিষ্ঠান।

এক্সপেরিয়েন্স জোন
* অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ১৮
এক্সিপেরিয়েন্স জোন। এখানে সাম্প্রতিকতম প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন দর্শকেরা। অগমেন্টেন্ড রিয়েলিটি, ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটির অনেক পণ্য থাকবে। যা ছুঁয়ে দেখে পরখ করে বোঝা যাবে।
এ ছাড়া উচ্চগতির ফাইভ-জি ইন্টারনেট থাকছে এই জোনে। এখানে উঠে আসবে পুরো দেশের সব শেষ প্রযুক্তি, আছে পরখ করে দেখার, শেখার অনেক কিছু।

ডিজিটাল কমার্স জোন
* অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ২৭
দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেকে সহজ করে বিভিন্ন ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে এ জোনে।

উইমেন জোন
* অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ১৪
বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯-এ প্রথমবারের মতো নারীদের দ্বারা পরিচালিত ছয়টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সেবা ও পণ্য প্রদর্শন করবে। পাশাপাশি উইমেন জোনের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার এবং কমনওয়েলথের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘শি-ট্রেডস’ প্রকল্প নারীদের পরিচালিত আরও আটটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে সেবা ও পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ দিচ্ছে।

ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন
* অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ১৪
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জীবনমানকে উন্নত করবে। বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯-এর প্রদর্শনী এলাকার ১০টি জোনের মধ্যে একটি ইন্ডাস্ট্রি ৪.০। থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)—অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির সেবা ও পণ্যসামগ্রী। আর এসব তৈরি করেছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান। এটি সারা বিশ্বের ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের সূচনা সম্পর্কে ধারণা দেবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতাকে তুলে ধরবে।

উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন
* অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ২০
স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি মোবাইল অ্যাপ ও উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা স্থান পাবে এ জোনে। এখানে দর্শনার্থীরা এসে বিশ্বের স্মার্টফোন শিল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মোবাইল ফোনের জন্য তৈরি অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি এবং অ্যাপ সম্পর্কে দেখতে ও জানতে পারবেন।

ডিজিটাল শিক্ষা জোন
* অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ৭
শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালাইজড করতে হলে শুরু করতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। পার্শ্ববর্তী অনেক দেশেই পুরোপুরি শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফাইল ব্যবস্থাপনা, হিসাবরক্ষণ, শিক্ষকদের বেতন ব্যবস্থাপনা—সবকিছুই একটা সফটওয়্যার দিয়ে হচ্ছে। এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার প্রশাসনিক অনেক কাজ করে দিচ্ছে একেবারেই সহজে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ইউরোপ, আমেরিকায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এই জোনে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে বানানো সব সফটওয়্যার পাওয়ার সুযোগ থাকছে।

ফিনটেক জোন
* অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ৪
প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হচ্ছে ডিজিটাল লেনদেন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই খাতে বেড়েছে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ। ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যান্ড ফিনটেক জোনে ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা ও সার্বিক অগ্রযাত্রার চিত্র ফুটে উঠবে।

আইটিইএস ও বিপিও জোন
* অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান: ২৯
তথ্যপ্রযুক্তি সেবা ও বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সম্ভাবনাময় এ খাত দিন দিন বড় হচ্ছে। আর সম্ভাবনায় একঝাঁক তরুণ–তরুণীর কথা মাথায় রেখে এই খাতে বেড়েছে বিনিয়োগ। আইটিইএস অ্যান্ড বিপিওর সাফল্যের গল্প তুলে ধরা হবে এই জোনে।