ফেসবুক ও ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলা

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে গুলি চালানোর ঘটনা ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ায় এ দুটি প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ফ্রান্সের মুসলিম সংগঠন ফ্রেন্স কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম)।

নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদ ও এর কয়েক কিলোমিটার দূরের লিনউড মসজিদে ১৫ মার্চ জুমার নামাজের সময় গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালান ব্রেনটন টারান্ট নামের এক অস্ট্রেলিয়ান শ্বেতাঙ্গ। এ সময় হেলমেটে লাগানো ক্যামেরার মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচার করেন তিনি। হামলায় ৫০ জন নিহত হন। হামলার ৩৬ মিনিট পর একটি গাড়ি থেকে ব্রেনটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ফেসবুক ও ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে সমর্থন দিয়েছে নিউজিল্যান্ড মুসলিমদের একটি গ্রুপ।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা। ইউটিউবের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার এজাহারে ফেসবুক ও ইউটিউবের ফ্রান্স শাখার বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করে জঙ্গিবাদ ছড়ানো ও মানুষের মর্যাদাভঙ্গের মতো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের ফেডারেশন অব ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আনোয়ার ঘানি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, তাঁরা ওই পদক্ষেপ সমর্থন করেন। ওই প্ল্যাটফর্মগুলো বড় ধরনের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ওই সন্ত্রাসী তার ঘৃণ্য অপকর্ম বিজ্ঞাপনের মতো প্রচার করতে চাইছিল।

ঘানি বলেন, তাঁদের সংগঠন মামলার কথা ভাবছিল। কিন্তু হামলার পর ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে পারেনি।

গত সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের প্রাইভেসি কমিশনার জন এডওয়ার্ডস বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর ফেসবুকের নীরব থাকা আমাদের দুঃখের ঘটনার প্রতি অসম্মান জানানো।’

ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও ঘৃণিত বক্তব্যর জায়গা নয় ফেসবুক। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও এ দুঃখের ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে। ঘটনা ঘটার পর আমরা দ্রুত আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ওই ভিডিও সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছি। এ ছাড়া আমরা কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছি।’

এক ব্লগপোস্টে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেসবুকে পোস্ট হওয়া ওই সন্ত্রাসী হামলার তিন লাখ ভিডিও তারা সরিয়েছে।