স্বাধীনতা দিবসের চেতনা বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা বেশি: মোস্তাফা জব্বার

‘মহান স্বাধীনতা দিবসের চেতনা বাস্তবায়নে আইসিটির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
‘মহান স্বাধীনতা দিবসের চেতনা বাস্তবায়নে আইসিটির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এখন ডিজিটাল হওয়ার দিকে বেশি গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। আধুনিক বাংলাদেশ, তথা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা উঠলে সবার আগে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কথা উঠে আসছে। স্বাধীনতা দিবসের চেতনা বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উদ্‌যাপন উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে ‘মহান স্বাধীনতা দিবসের চেতনা বাস্তবায়নে আইসিটির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছিল অপার আস্থা। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অর্থনীতিসহ বেশ কিছু সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। এখন আমরা ডিজিটাল হওয়ার দিকে বেশি গুরুত্বারোপ করেছি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে যখন বঙ্গবন্ধু হাত দিয়েছিলেন, তখন থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। এসব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ১৯৭৪ সালেই তাঁর দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ যোগ দেয় আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নে (আইটিইউ)। তাঁরই সিদ্ধান্তে বেতবুনিয়ায় স্থাপন করা হয় ভূ–উপগ্রহ কেন্দ্র।