বাংলাদেশের গেম আবারও শীর্ষে

গেম নির্মাতা হাম্বা স্টুডিওর তিন উদ্যোক্তা। ছবি: জুয়েল শীল
গেম নির্মাতা হাম্বা স্টুডিওর তিন উদ্যোক্তা। ছবি: জুয়েল শীল

আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনের গেম ‘পিক মি আপ’ প্রকাশিত হয়েছে ১৩ মার্চ। এটি বাংলাদেশের হাম্বা স্টুডিওর তৈরি তৃতীয় গেম। প্রকাশিত হওয়ার দুই দিনের মধ্যে গেমটি আমেরিকা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার ২৯টি দেশের অ্যাপল আইওএসের টপচার্টের ১ নম্বরে চলে আসে। গুগল প্লে স্টোরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ৮টি দেশে প্রথম স্থান এবং ৩০টি দেশে শীর্ষ দশে স্থান করে নেয়।

গেমটি মূলত অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবা নিয়ে। একে বলা হয় রাইড শেয়ারিং সিমুলেটর। রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোতে যেমন চালক তাঁর যাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেন, তেমনি এই গেমে আপনাকে গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে হবে। এখানে আপনি খেলতে পারবেন পৃথিবীর অনেক দেশে, অনেক শহরে। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া ভাড়ার অর্থ দিয়ে কিনতে পারবেন নতুন নতুন গাড়ি।

পিক মি আপ গেম
পিক মি আপ গেম

এ ছাড়া গত বছরের নভেম্বরে হাম্বা স্টুডিও প্রকাশিত ‘স্পিল ইট!’ এবং গত বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত ‘ফ্লাপি ফায়ার’ গেম কয়েকটি দেশে শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছিল। হাম্বা স্টুডিওর চেয়ারম্যান সৈয়দ তাকশেদ করিম এই সফলতার কথা জানাতে গিয়ে জানান, ‘আমরা বাজারমুখী ডিজিটাল সম্পদ তৈরিতে মনোযোগ দেওয়ার কারণে সাফল্য আসছে। আগামী দিনে হাম্বা স্টুডিও আরও গেম তৈরি করবে, যা বাজারে আরও সাড়া ফেলবে।’

হাম্বা স্টুডিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘এটা অনেক আনন্দের অনুভূতি, যখন দেখি আমাদের তৈরি করা গেমস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ উপভোগ করছে।’

ভবিষ্যতে লক্ষ্য কী? হাম্বা স্টুডিওর পরিচালক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের কঠিন সময় পার করে এসেছি। নিজেদের আগেও প্রমাণ করেছি, সামনেও করব। আমরা জানি কীভাবে সঠিক বাজার বিশ্লেষণ করে স্বল্প সময়ের মধ্যে গেম বানিয়ে ২৫০ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক গেম বাজার থেকে লাভবান হওয়া যায়। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’