ক্রেডিট কার্ড তখন ও এখন

সূত্র : বিমানিএওয়ার, মানিপিচ, টাইমটোস্ট ও ক্রেডিটকার্ডসডটকম
সূত্র : বিমানিএওয়ার, মানিপিচ, টাইমটোস্ট ও ক্রেডিটকার্ডসডটকম

১৯৪৯
প্রথম ক্রেডিট কার্ড
প্রথম ক্রেডিট কার্ডের ধারণা আসে ফ্রাংক ম্যাকনামারা নামের একজন ব্যক্তির কাছ থেকে। তিনি রেস্টুরেন্টের বিল দিতে গিয়ে দেখেন তাঁর মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছেন। তখন তিনি কার্ডের চিন্তা মাথায় আনেন। সেই কার্ড মূলত বিনোদন ও ট্রাভেলের কাজে ব্যবহৃত হতো।

১৯৬০
প্রথম সাধারণ কাজের জন্য ক্রেডিট কার্ড আসে, যা পরে মাস্টার কার্ড ও ভিসা যৌথভাবে বাজারে ছাড়ে। একই দশকে আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড শিল্পে পা রাখে।

১৯৬১
ডিনারস ক্লাব কার্ড
প্লাস্টিকের একধরনের কার্ডের মাধ্যমে রাতের খাবারের বিল পরিশোধ করা হতো।

১৯৭০
ম্যাগনেটিক স্ট্র্যাপ কার্ড
আমেরিকান এক্সপ্রেস ম্যাগনেটিক স্ট্র্যাপসমৃদ্ধ কার্ডের প্রচলন শুরু করে। এই প্রযুক্তি ১৯৮০ দশক পর্যন্ত বেশ প্রচলিত ছিল।

১৯৭৩
ইলেকট্রনিক কার্ডের ব্যবহার শুরু
এই দশকে ক্রেডিট কার্ড অটোমেটেড বা স্বয়ংক্রিয় হয় এবং এই দশক থেকেই ইলেকট্রনিক কার্ড প্রসেসিং চালু হয়। এর ফলে ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারতেন ক্রেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পণ্যাদি কেনার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা আছে কি না। এতে পণ্য বিক্রয়ও অনেক সহজতর হতো।

১৯৮৬
ডিসকভার কার্ডের সূচনা
টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিয়ে ডিসকভার কার্ড আসে। এই কার্ড ভোক্তাদের ব্যবহারবান্ধব সব সুবিধা দিত। যেমন বার্ষিক ফিমুক্ত, টাকা ব্যবহারে নগদ পুরস্কারের মতো নানান সুবিধা পাওয়া যেত।

১৯৯০
দশকের মাঝামাঝি
ইএমভি (ইউরোপে মাস্টার কার্ড, ভিসা) চিপ ইউরোপের জন্য তৈরি ও বাজারজাত শুরু হয়। নিরাপত্তাব্যবস্থাও বাড়ানো হয় এতে।

১৯৯৬
ক্লোজ লুপ সিস্টেমযুক্ত ক্রেডিট কার্ডের প্রচলন শুরু হয়।

২০০৪
ক্রেডিট কার্ডের ব্যাপকতা
ম্যাকডোনালসের মতো বিখ্যাত ফাস্ট ফুড এবং অন্যান্য ফাস্ট ফুড কোম্পানিগুলোতে ক্রেডিট কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়। সপ্তাহ শেষে দেখা যায়, প্রতিটি আমেরিকান পরিবার ৪২ কোটি মার্কিন ডলার ফাস্ট ফুডের দিকে ব্যয় করছে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে।

২০১৪
নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা...
যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করা শুরু হয়। কার্ডের মধ্যে ক্ষুদ্র একটি সার্কিট বোর্ড আনা হয়, যা ম্যাগনেটিক স্ট্র্যাপের মতোই তথ্য ধারণ করতে সক্ষম। রোলিং কোড প্রযুক্তিতে কার্ডকে প্রতিবার ব্যবহার করার মাধ্যমে তথ্যকে নিরাপদ রাখা হয়।

রাকিবুল হাসান
সূত্র : বিমানিএওয়ার, মানিপিচ, টাইমটোস্ট ও ক্রেডিটকার্ডসডটকম