বিদায় ব্ল্যাকবেরি মেসেঞ্জার

স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে বেশি পরিচিত ব্ল্যাকবেরি একসময় ব্ল্যাকবেরি মেসেঞ্জারের জন্যও পরিচিত ছিল। তবে ফেসবুক মেসেঞ্জার আর হোয়াটসঅ্যাপের যুগে ব্ল্যাকবেরি মেসেঞ্জারকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়। এখন ওই জনপ্রিয় অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্ল্যাকবেরি কর্তৃপক্ষ।

হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তার আগে ২০০৫ সালে ব্ল্যাকবেরি মেসেঞ্জার উন্মুক্ত করা হয়। ১৪ বছর পর আগামী ৩১ মে অ্যাপটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে এমটেক নামের বিবিএম মেসেঞ্জার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটি।

এক ব্লগ পোস্টে কর্তৃপক্ষ বলেছে, তিন বছর আগে বিবিএম গ্রাহকসেবা নতুন করে সাজানো হয়। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় অ্যাপটিকে ক্রস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহারকারীদের সামনে আনা হয়। নানা কনটেন্ট শেয়ার, পেমেন্টসহ নানা সুবিধা যুক্ত করা হয় এতে। এখন পর্যন্ত যা তৈরি করা হয়েছে, তা নিয়ে গর্বিত। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। অ্যাপটি উন্নত করার পাশাপাশি এর ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ব্যবহারকারীরা অন্য প্ল্যাটফর্মে চলে যায়। ফলে, নতুন ব্যবহারকারীকে সাইনআপ করানো কঠিন হয়ে পড়ে। বিদায় জানানো কঠিন হলেও এখন বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে বিবিএম মেসেঞ্জারকে বিদায় বলতে হচ্ছে।’

গ্রাহকের জন্য বিনা মূল্যের সংস্করণ ব্যবহার বন্ধ করার ঘোষণা হলেও এর এন্টারপ্রাইজ সংস্করণ বন্ধ হচ্ছে না। প্রতি ছয় মাস অন্তর আড়াই ডলার খরচ করে এটি ব্যবহার করা যাবে।

ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোনের বিশেষ সেবা ছিল এই মেসেঞ্জার। কিন্তু ২০১৩ সালে এই অ্যাপ অন্য প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্ত করে ব্ল্যাকবেরি। কিন্তু তারপর থেকেই অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে চলে যেতে শুরু করে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারকারীরা।