শেষ হলো বিপিও সম্মেলন

বিপিও সম্মেলনে চাকরির জন্য মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
বিপিও সম্মেলনে চাকরির জন্য মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

দেশে চতুর্থবারের মতো আয়োজিত হলো বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং—বিপিও সম্মেলন বাংলাদেশ ২০১৯। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিপিও খাতের অবস্থান তুলে ধরার জন্য দুই দিনের এই সম্মেলন শেষ হয়েছে গতকাল সোমবার। সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)।

এবারের বিপিও সম্মেলন থেকে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে বেশ কিছু চাকরি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সে জন্য অংশগ্রহণকারী ৯টি প্রতিষ্ঠানের স্টলে তরুণ দর্শনার্থীরা সিভি জমা দিয়েছেন।
বাক্য-এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা যা আশা করেছি, এবারের সম্মেলনে তার চেয়েও বেশি সাড়া পেয়েছি। সেমিনারগুলোতেও দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০ জন আন্তর্জাতিক বক্তা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। এই সম্মেলন থেকেই আমরা দক্ষদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’

২১ এপ্রিল বিপিও সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক এবং বাক্য-এর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ। এবারের আয়োজনে ৬০ জন স্থানীয় ও ২০ জন আন্তর্জাতিক বক্তা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠিত হয় ১২টি সেমিনার ও কর্মশালা।

বিপিও সম্মেলন আয়োজনে অংশীদার ছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ), বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি, আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)।