জিপি অ্যাকসেলেরেটর ২.০ উদ্বোধন

জিপি অ্যাকসেলেরেটর ২.০ উদ্বোধন অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত।
জিপি অ্যাকসেলেরেটর ২.০ উদ্বোধন অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত।

দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন শুরু করেছে অ্যাকসেলেরেটর কর্মসূচি ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর ২.০’। গতকাল বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। এখন ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর ২.০’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে উদ্যোক্তারা আবেদন করতে পারবেন।

জিপি অ্যাকসেলেরেটর ২.০ হচ্ছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিনিয়োগকারী ও ইকোসিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ স্টার্টআপগুলো এক হয়ে উদ্ভাবনী ধারণার বিচার-বিশ্লেষণ করে সেগুলো যথাযথভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে। বিশ্বখ্যাত পরামর্শকদের কাছ থেকে নির্বাচিত স্টার্টআপগুলো বাণিজ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে প্রবৃদ্ধিসংক্রান্ত সহায়তা পাওয়ার পাশাপাশি জিপি হাউসে কার্যালয়, জিপি ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে অন্তর্ভুক্তি এবং দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ পাবে।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছর ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর ২.০’ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্ভাবক ও স্টার্টআপদের কাছে পৌঁছানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে গ্রামীণফোন। এর পাশাপাশি এ পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্ভাবক ও স্টার্টআপদের ধারণাকে প্রি-অ্যাকসেলেরেটরের মাধ্যমে ন্যূনতম ব্যবসা পণ্যে রূপান্তরে সহায়তা করা হবে।

প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্ভাবক ও স্টার্টআপরা https://www.grameenphone.com/gp-accelerator-2.0-এ গিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রি-অ্যাকসেলেরেটর ধাপে ২৫টি নির্বাচিত স্টার্টআপকে পণ্য গবেষণা, পণ্যের ডিজাইন বা নকশা, বৈধতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক তথ্যসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত প্রি-অ্যাকসেলেরেটর রাউন্ডের জন্য আবেদনের সুযোগ রয়েছে।

দক্ষ স্টার্টআপগুলো আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত সরাসরি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবে। তারা প্রায় সাড়ে চার মাস দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে।

২০১৫ সালে ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৬টি স্টার্টআপের মধ্যে ১৯টি স্টার্টআপ তাদের সেবা ও পণ্য বাণিজ্যিকভাবে চালু করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্ভাব্য ব্যবসার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে বর্তমান সরকার সহায়তার দিক থেকে শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা সার্বিকভাবে জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। এ ক্ষেত্রে স্টার্টআপগুলোর সহায়তায় জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্ল্যাটফর্ম একটি অনন্য উদাহরণ।’

গ্রামীণফোনের প্রধান মাইকেল ফোলি বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন সরকারের সঙ্গে সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অগ্রগতিতে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে এটি কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করি।’

গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সত্যিকারের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে আমাদের উদ্ভাবন ও তরুণদের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। দেশজুড়ে উচ্চগতির ডেটা নেটওয়ার্ক তৈরি ছাড়াও গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণদের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এ কর্মসূচিজুড়ে সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ সমাধানের উন্নয়ন ঘটিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়।’