সাড়ে ২০ লাখ সিম নিষ্ক্রিয় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে

একজন গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে নিবন্ধন করা ১৫টির বেশি সিম নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে ২৫ এপ্রিল মধ্যরাতে (রাত ১২টার পর)। নির্ধারিত সংখ্যার বেশি যেসব সিম ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা হয়েছে, সেগুলো বন্ধ করে দিতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশের সব মোবাইল অপারেটরকে নির্দেশনা দিয়েছে। তবে করপোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে বিটিআরসির এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।

বিটিআরসি জানিয়েছে, ৫টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৭ সিম বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে (জিরো আওয়ার) নিষ্ক্রিয় করা প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হবে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের (জিরো আওয়ার) পরের ৬ ঘণ্টার মধ্যে সিমগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে বলে ইউএনবিকে জানান বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ পরিচালক জাকির হোসেন খান।

বিটিআরসির নির্দেশনা ছিল, একই জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ১৫টির বেশি নিবন্ধিত সিম রাখা যাবে না। কিন্তু বিটিআরসি দেখেছে, এই নিয়ম লঙ্ঘন করে নিবন্ধিত হওয়া সিমের মোট সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এ জন্য অতিরিক্ত সিম কমিয়ে ফেলতে বিটিআরসি তৈরি করেছে ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম’।

২০১৬ সালের ১২ জুন সরকার একজন গ্রাহকের বিপরীতে ২০টি সিম নির্ধারণ করে দেয়। পরে এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি করা হলেও সেই সিদ্ধান্তও পরিবর্তন হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ১৫টি সিম নিবন্ধনের জন্য নির্ধারণ করা হয়।

২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৭টি সিমের মধ্যে গ্রামীণফোনের সিম ৪ লাখ ৬১ হাজার ২৬১, বাংলালিংকের ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩১, রবির ৪ লাখ ১৯ হাজার ২০২, টেলিটকের ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৯২ ও এয়ারটেলের ২ লাখ ২৫ হাজার ৭৬১টি।

একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কতটি মোবাইল সিম নিবন্ধন করা হয়েছে তা *১৬০০১# ডায়াল করে বা জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ চারটি ডিজিট লিখে ১৬০০১ নম্বরে মোবাইল থেকে এসএমএস পাঠিয়েও জানা যাবে। তথ্যসূত্র: ইউএনবি