১০ বছরে প্রযুক্তি খাতে ২ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে

‘ইন্টারন্যাশনাল গার্লস ইন আইসিটি ডে’-কে কেন্দ্র করে জিপি হাউসে এক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করে গ্রামীণফোন। ঢাকা, ২৫ এপ্রিল। ছবি: সংগৃহীত
‘ইন্টারন্যাশনাল গার্লস ইন আইসিটি ডে’-কে কেন্দ্র করে জিপি হাউসে এক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করে গ্রামীণফোন। ঢাকা, ২৫ এপ্রিল। ছবি: সংগৃহীত

‘ইন্টারন্যাশনাল গার্লস ইন আইসিটি ডে’কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার জিপি হাউসে এক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করে গ্রামীণফোন। আলোচনায় নারীদের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি আইসিটি খাতে লৈঙ্গিক সমতা প্রতিষ্ঠায় তাঁদের অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধের বিষয় তুলে ধরা হয়।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ও বিশেষজ্ঞদের তথ্যবহুল এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনার শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মেয়েদের বর্তমান অবস্থা, প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ও ভবিষ্যতে কীভাবে সুযোগ তৈরি করা যায়—সেসব বিষয় নিয়ে সভায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আলোচনা ও বিতর্ক হয়।

প্যানেল আলোচনা নিয়ে মাইকেল ফোলি বলেন, শিল্প, ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব, আইন, প্রাথমিক শিক্ষা কিংবা গ্রাফিক ডিজাইনের মতো প্রযুক্তি খাত আগের চেয়ে অনেক বেশি জটিল হয়ে গেছে। আগামী ১০ বছরে প্রযুক্তি খাতে দুই লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কিন্তু দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক জনশক্তির অভাবে তা পূরণ করা যাবে না। বাংলাদেশের মতো প্রবৃদ্ধিশীল একটি দেশ, যেখানে নারীরা প্রতিষ্ঠা লাভ করার পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘ডিজিটাল ক্যারিয়ার গড়তে নারীরা বহুমুখী বাধার মুখে পড়ে এবং এই চ্যালেঞ্জের কোনো দেশ, কাল, পাত্র নেই। আমরা একসঙ্গে কাজ করলে এই বাধা অতিক্রম করতে পারব এবং সামগ্রিক উন্নতি নিশ্চিত করতে পারব।’

প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের হেড অব এইওটি রেদোয়ান হাসান খান, বাংলাদেশ সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী খালেদা আহসান, কোয়ান্টাম কনজিউমার সলিউশন লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক রিসার্চ বুশরা মাহরিন ও গ্রামীণফোনরে হেড অব ডিজিটাল অ্যান্ড অ্যানালিটিকস অপারেশনস সোওয়াবা সারওয়াত সিনথিয়া। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি