গাড়ির যত অনুষঙ্গ

গাড়ির নিরাপত্তা ও সুবিধার জন্য কিছু অনুষঙ্গ প্রয়োজনীয়। ছবি: সংগৃহীত
গাড়ির নিরাপত্তা ও সুবিধার জন্য কিছু অনুষঙ্গ প্রয়োজনীয়। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব গাড়ি শুধু যাতায়াতের মাধ্যমই নয়, চলমান পথে শান্তির নীড়। প্রতিটি গাড়ি তার মালিকের পছন্দ-অপছন্দ তুলে ধরে। মানুষের পছন্দের ভিন্নতা থাকে। নতুন (ব্র্যান্ড নিউ) গাড়ি বা রিকন্ডিশনড গাড়ি কেনার পর নিজের মনমতো বদলে নেওয়ার অনেক বিষয় থাকে। এই আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো শখের সঙ্গে প্রয়োজনও পূরণ করে। প্রতিটি গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চলাচলের জন্য উপযুক্ত করে গাড়ি তৈরি করে। এরপরও বাড়তি নিরাপত্তা, গাড়িকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অথবা আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করার জন্য দেশের বাজারেই রয়েছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। হাতের নাগালে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে গাড়িতে অতিরিক্ত কিছু গ্যাজেট বা পণ্য যোগ করে গাড়িকে করে নিতে পারেন অনন্য। রাজধানীর মগবাজার, বাংলামোটর, স্কাউট মার্কেট, মহাখালী কার পার্টস মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি অনলাইনে মিলবে গাড়ির আনুষঙ্গিক পণ্য। একনজরে জেনে নেওয়া যাক এই সব অনুষঙ্গ ও গ্যাজেট সম্পর্কে।

ড্যাশক্যাম
নিরাপদে গাড়ি চালানোর জন্য ড্যাশক্যাম হতে পারে অন্যতম সঙ্গী। ড্যাশক্যামে গাড়ির সামনে এবং পেছনে দুটি ক্যামেরা থাকে। চাইলে শুধু সামনের ক্যামেরা দিয়েও ব্যবহার করা যায়। এই ক্যামেরায় ভিডিও রেকর্ড করা যায়। তাই গাড়ি কোথাও দুর্ঘটনায় পড়লে ঠিক কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছিল, তা শনাক্ত করা যায়। প্রশস্ত অ্যাঙ্গেল এবং রাতেও এই ক্যামেরা দিয়ে ১০৮০ পিক্সেল রেজল্যুশনে ভিডিও ধারণ করা যায়। ৮ থেকে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত ধারণক্ষমতার মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যায়। এতে শব্দ ধারণ করা বা শোনার জন্য মাইক্রোফোন এবং স্পিকার রয়েছে। সামনে ও পেছনে ক্যামেরা থাকলে ডিসপ্লেতে দুভাগে দুটি ক্যামেরার ছবি একসঙ্গে দেখা যায়। ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় ড্যাশ ক্যামেরা কিনতে পাওয়া যায়।

জিপিএস ট্র্যাকার

টায়ার প্রেশার মনিটর ইন্ডিকেটর
টায়ার প্রেশার মনিটর ইন্ডিকেটর

গাড়ির অবস্থান জানা, জরুরি প্রয়োজনে গাড়ি চালু বা বন্ধ করা, জিওফেন্স তৈরি করে নির্দিষ্ট এলাকায় গাড়ি ব্যবহারসহ বিভিন্ন সুবিধা পেতে জিপিএস ট্র্যাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। দেশে এখন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জিপিএস সেবা দিয়ে থাকে। জিপিএস ট্র্যাকার কেনার পর প্রতিষ্ঠান অনুসারে মাসিক বিল দিতে হয়। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মাসিক চার্জ ছাড়াও জিপিএস সেবা দিয়ে থাকে। ট্যাসলক এর মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া ফাইন্ডার, এমটুএম, এম স্টোর, মোবিট্র্যাক বিডি, ট্যাকার্স বিডিসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জিপিএস যন্ত্র ও সেবা প্রদান করে থাকে। সাড়ে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে জিপিএস ট্র্যাকার দেশের বাজারে পাওয়া যায়।

টায়ার প্রেশার মনিটর ইন্ডিকেটর

গাড়ির ড্যাশক্যাম
গাড়ির ড্যাশক্যাম

চাকায় কী পরিমাণ হাওয়া আছে, তার ওপরে গাড়ির মাইলেজ অনেকাংশে নির্ভরশীল। গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গাড়ির চাকায় হাওয়ার পরিমাণের ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে থাকে। সাধারণ চোখে চাকার হাওয়া খুব কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া ছাড়া চাকার অবস্থা নির্ণয় করা কঠিন। কিন্তু যদি চাকায় টায়ার প্রেশার মনিটর ইন্ডিকেটর থাকে, তাহলে হাওয়ার পরিমাণ ঠিক আছে কি না, সহজেই জানা যাবে। টায়ারের মুখে সহজেই এই যন্ত্র লাগানো যায়। সবুজ, হলুদ ও লাল—এই তিন রঙে টায়ারে হাওয়ার পরিমাণ নির্দেশিত হয়। এ ছাড়া তারহীন টায়ার প্রেশার মনিটর (টিপিএমএস) দিয়ে গাড়ির ভেতরে থেকেও টায়ার প্রেশার জানা যায়। আধুনিক অনেক গাড়িতে টায়ার প্রেশার ইন্ডিকেটর বিল্ট ইন থাকে। এই ডিভাইসগুলোর মূল্য ৪০০ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কার অ্যালার্ম সিস্টেম
দূর থেকে (রিমোট কন্ট্রোলড) যেসব গাড়ির দরজা খোলা ও বন্ধ করা যায়, সেসব গাড়িতে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য অ্যালার্ম লক ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ চাবি দিয়ে গাড়ি খোলা বা বন্ধ করার ব্যবস্থা থাকলে চাবিবিহীন অ্যালার্ম লক যন্ত্র ব্যবহার করে সহজেই গাড়ির দরজা খোলা বা বন্ধ করা যায়। এ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তাসংকেত, বুটের লক খোলা থাকলে সতর্কতা সংকেত, অনেক গাড়ির মধ্যে সহজে গাড়ি খুঁজে পাওয়ার অপশনসহ অনেক কিছুই মিলে কার অ্যালার্ম সিস্টেমে। ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে অ্যালার্ম সিস্টেম দেশের বাজারে সহজলভ্য।

টায়ার সিলার অ্যান্ড ইনফ্লেটর

আছে আরও যন্ত্রাংশ
আছে আরও যন্ত্রাংশ

রাস্তায় টায়ার পাংচার হয়ে গেলে বেশ বেগ পেতে হয়। টায়ার পরিবর্তনের নিয়মকানুনও জটিল। যদি গাড়িতে টিউববিহীন টায়ার থেকে থাকে, তাহলে সহজেই পাংচারের পরের সময়টুকুতে রক্ষা পাওয়া যাবে। টায়ার সিলার অ্যান্ড ইনফ্লেটর ডিভাইসের মাধ্যমে পাংচার হওয়া টায়ার তৎক্ষণাৎ ঠিক করে হাওয়া দেওয়া যাবে। ৬ মিলিমিটার আকারের পাংচারও আটকে দিয়ে চাকা ব্যবহার করা যাবে। এই গ্যাজেটগুলো সাধারণত একবার ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে হাওয়া দেওয়ার জন্য টায়ার ইনফ্লেটর মেশিন পাওয়া যায়। ৪৫০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে এই ডিভাইস কিনতে পাওয়া যায়।

পার্কিং সেন্সর
সংকীর্ণ জায়গায় গাড়ি পার্ক করা বেশ কঠিন কাজ। চালানোর দক্ষতা ভালো না হলে যেকোনো সময় গাড়ি লেগে যেতে পারে। আর গাড়িতে আঁচড় বা দাগ লেগে গেলে গুনতে হবে বাড়তি খরচ। গাড়িতে যদি পার্কিং সেন্সর থাকে, তাহলে গাড়ি কোথাও লেগে যাওয়ার আগেই সতর্কসংকেত দেবে। গাড়ির পেছনে ও সামনে এই সেন্সরগুলো ব্যবহার করা যায়। পার্কিং ছাড়াও অন্য গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতেও এই গ্যাজেট কার্যকর। নতুন মডেলের গাড়িগুলোতে পার্কিং সেন্সর বা ক্যামেরা থাকে। যেগুলোতে নেই, সেগুলোতে পার্কিং সেন্সর লাগানো যায়। দাম ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা।

মোবাইল হোল্ডার

গাড়ি চালানোর সময় পকেটে মোবাইল থাকলে কল বা খুদে বার্তা এলে বের করে দেখা ঝুঁকিপূর্ণ। মোবাইল হোল্ডার এই সমস্যার উত্তম সমাধান। সহজেই কল ধরা বা কেটে দেওয়া, স্পিকারের সাহায্যে কথা বলা বা হোল্ডারে রেখে মোবাইল চার্জ দেওয়া—সবই এই গ্যাজেটের মাধ্যমে করা যায়। গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইলে কথা বলা একেবারেই ঠিক না। তবে জিপিএস বা গুগল ম্যাপ ব্যবহার করার জন্য মোবাইল হোল্ডার বেশ কার্যকর। ৩০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে নানা রকম ডিজাইনে এই গ্যাজেট কেনা যাবে।

কার চার্জার

সারা দিন স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে ফোনের চার্জ শূন্যের কোটায়। জরুরিভাবে চার্জ দেওয়া প্রয়োজন। আবার তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরাও গুরুত্বপূর্ণ। কোনো সমস্যা নেই। গাড়িতে একটি মোবাইল চার্জার লাগিয়ে নিলে সহজেই ফোন চার্জ দেওয়া যাবে। সাধারণত সিগারেট লাইটার পোর্টটিতে চার্জার সংযুক্ত করা যায়। ইউএসবি পোর্টের সুবিধা যেসব গাড়িতে রয়েছে, সেখানে শুধু কেব্​ল সংযুক্ত করেই চার্জ দেওয়া যাবে। ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় এই চার্জারগুলো বাজারে পাওয়া যায়।

স্টার্ট জাম্পার

রাস্তায় গাড়ির ব্যাটারি বিকল হয়ে যাওয়া রিকন্ডিশনড বা পুরোনো গাড়ির একটি সাধারণ সমস্যা। কোনো ধরনের নির্দেশনা না দিয়েও ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে অথবা চার্জ না থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে যদি গাড়িতে জাম্প স্টার্টার থেকে থাকে, তাহলে কারও সাহায্য ছাড়াই গাড়িটি স্টার্ট করা যাবে। পাওয়ার ব্যাংকের মতো দেখতে এই ব্যাটারিগুলো ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ার পার আওয়ারের ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে থাকে। এর সঙ্গে গাড়ি স্টার্ট করার জন্য কেব্​ল ও কানেক্টরও দেওয়া থাকে। এই পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে মোবাইল, ল্যাপটপও চার্জ দেওয়া যায়। ৫ থেকে ১০ হাজার টাকায় স্টার্ট জাম্পার কেনা যাবে।

সিটব্যাক স্টোরেজ

গাড়িতে এমন অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রয়োজন হয়, যা রাখার জন্য আলাদা কোনো জায়গা পাওয়া যায় না। হাতের কাছে সেসব জিনিস সহজে রাখার জন্য প্রথম দুটি সিটের পেছনে ব্যবহার করা যায় সিটব্যাক স্টোরেজ। এই স্টোরেজে বিভিন্ন সাইজের ৭-৯টা পকেট থেকে থাকে। এতে মোবাইল, ওয়ালেট, নোটপ্যাড, কলম, চাদর, চা বা কফি রাখার ফ্লাস্ক, ছাতা ও টিস্যু বাক্স রাখা যায়। সুন্দরভাবে সাজানো থাকে বলে দেখতেও বেশ লাগে। ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় সিট কভার বা কার ডেকোরেশনের দোকানে সিটব্যাক স্টোরেজটি পাওয়া যাবে।

৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা

৪টি ক্যামেরার সমন্বয়ে পুরো গাড়ির অবস্থান দেখার জন্য যে প্রযুক্তি    ব্যবহার করা হয়, তাকে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা বলে। এতে সামনের ভিউ দেখার জন্য ফ্রন্ট ক্যামেরা, ডানে ইন্ডিকেটর অন করলে ডানের ভিউ, বামের ইন্ডিকেটর অন করে বামের ভিউ এবং ব্যাক গিয়ার ব্যবহার করে পেছনের ভিউ দেখা যায়। বার্ডস আইয়ের মাধ্যমে পুরো গাড়ির ভিউ দেখার সুযোগ রয়েছে এই ক্যামেরায়। বিলাসবহুল গাড়িগুলোতে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা বিল্ট ইন থাকে। এমনিতে এই ক্যামেরার বসানো যায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায়।

ফায়ার এক্সটিংগুইশার

অগ্নিকাণ্ডে রাজধানীতে গত ছয় মাসে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। নিজের প্রিয় গাড়িটিও যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সে জন্য গাড়িতে রাখতে পারেন ফায়ার এক্সটিংগুইশার। এই ডিভাইসের সাহায্যে আগুন নেভানো সহজ। সাইজ অনুসারে ফায়ার এক্সটিংগুইশারের মূল্য নির্ধারণ হয়। ৪৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় সহজে বহনযোগ্য এই সব ফায়ার এক্সটিংগুইশার পাওয়া যায়।

কার পারফিউম

গাড়ির কেবিনের ভেতরে সুগন্ধিময় পরিবেশ করার জন্য গাড়িতে কার পারফিউম ব্যবহার করা উচিত। পারফিউমগুলোর প্রকারভেদ রয়েছে। গাড়ির ড্যাশবোর্ডে নির্দিষ্ট করে, এসি ভেন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করে অথবা আলাদা স্প্রে ব্যবহার করে সুগন্ধিময় কেবিনে যাত্রা উপভোগ করা যায়। বিভিন্ন দেশের পারফিউম গাড়ির যন্ত্রাংশ মার্কেটে মিলে। প্রকারভেদে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এই পারফিউমগুলোর মূল্য হয়।

কার ব্যাকপেইন রিলিফ কুশন

অনেকক্ষণ ধরে গাড়ি চালালে অথবা কোমরে ব্যথা থাকলে ব্যাকপেইনের সৃষ্টি হয়। ব্যাকপেইন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জালিযুক্ত বাঁকানো একধরনের নেট পাওয়া যায়। এই নেট ব্যবহার করলে কোমরব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাস্তার পাশে ফেরি করেও এসব কুশন বিক্রি হয়। ব্যাকপেইন রিলিফ কুশনের মূল্য ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।

বাজারে আছে নানা কিছু

গাড়ির প্রয়োজনীয় নানা অনুষঙ্গ বাজারেই পাওয়া যায়। আবার অনলাইন দোকানেও মেলে নানাকিছু। ঢাকার মগবাজারের দেওয়ান মেটাল করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী সামসুল হক বাবুল দেওয়ান বলেন, ‘সাধারণত নতুন গাড়ি কেনার পর মানুষ গাড়িতে গ্যাজেট সংযোজন করতে চান। গ্রাহকদের গাড়ির যন্ত্র বা গ্যাজেট নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। প্রয়োজন বোঝানো গেলেই তাঁরা কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।’

অনলাইন দোকান এম স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি ১২ বছর একটি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছি। এরপর  ব্যবসা শুরু করি। অনলাইনে প্রচুর গ্রাহক আমাদের সাইটে আসেন। আমরা গাড়ির অনুষঙ্গ অনলাইনে বিক্রি করি।’ 

২০১৫ মডেলের টয়োটা ফিল্ডার গাড়ি কিনেছেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গাড়ি কেনার পর আমি কয়েকটি গ্যাজেটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। তারপর দোকানে গিয়ে কিছু দরকারি অনুষঙ্গ কিনে আনি।’

আধুনিক যন্ত্র ছাড়াও গাড়ির জন্য ফ্লোরম্যাট, কার হেডেরস্ট, মাডগার্ড, ড্রাইভারের হ্যান্ডরেস্টের মতো অনুষঙ্গের চাহিদাও কম নয়। বাজারে এগুলো সহজলভ্য।