নেটওয়ার্ক সচল রাখতে কাজ করছে গ্রামীণফোন

সাইক্লোন ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সচল রাখতে সার্বক্ষণিক নিরলস কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিভাগের কর্মীরা। একই সঙ্গে সাইক্লোন ফণীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা পুন:স্থাপনের লক্ষ্যে সরকার, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে গ্রামীণফোন। এই যৌথ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নেটওয়ার্ক এর অবকাঠামো ঠিক করে দেশব্যাপী যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা।

গ্রামীণফোন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

আজ শনিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বেশির ভাগ এলাকায় ফণীর আঘাত হানে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, এবং চট্টগ্রামে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্রামীণফোনের কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন। পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় গ্রামীণফোনের কর্মীরা মূল নেটওয়ার্ক সচল রেখেছে। এখনো বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় নেটওয়ার্ক চালু রাখার সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণফোনের কর্মীরা। অনেক জায়গাতেই বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ফিরে আসতে সময় লাগতে পারে আর তাই আমাদের নেটওয়ার্কও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগতে পারে নেটওয়ার্ক দলের চলমান প্রয়াস সম্পর্কে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, “নেটওয়ার্ক দল এই দুর্যোগের মধ্যেও যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এ জন্য তাদের সাহসিকতাকে ধন্যবাদ জানাই। এ ক্ষেত্রে তাদের পূর্ব প্রস্তুতি একটি বিশাল ভূমিকা পালন করেছে। গত কয়েক দিন ধরে তারা বিরামহীনভাবে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই আমাদের নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক হবে।”

ইয়াসির আজমান বলেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হওয়ার বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা খুব দ্রুত পুনঃস্থাপন দরকার। এ লক্ষ্যে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি। তিনি বলেন, দুর্যোগের এই সময়ে আমরা গ্রাহকদের ধৈর্য ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আশা করি বরাবরের মতো দ্রুতই এই পরিস্থিতির উত্তরন ঘটবে।

একটি উচ্চ পর্যায়ের দল সারা দেশের গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক এর সার্বিক দেখভাল করছেন। নেটওয়ার্ক এর সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত সকল কর্মীরা কাজ করে যাবেন।