আধুনিক প্রযুক্তির ফ্রিজ

ফ্রিজে এখন যোগ হচ্ছে নানা রকম সুবিধা
ফ্রিজে এখন যোগ হচ্ছে নানা রকম সুবিধা

প্রয়োজনীয়তার কারণেই ফ্রিজের চাহিদা সব সময় বেশি। বাজারে দেশি–বিদেশি নানা নির্মাতার ফ্রিজ বিক্রি হয়। নিত্যনতুন সুবিধা থাকে সেসব ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরে।

দেশি নির্মাতা ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটরে প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তি যোগ করা হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে ১০টি মডেলের সাইড বাই সাইড কাচের দরজার প্রিমিয়াম ফ্রিজ বাজারে আনতে যাচ্ছে ওয়ালটন। আর আগামী ঈদুল আজহার মধ্যে ৩ থেকে ৪টি মডেলের প্রিমিয়াম ফ্রিজ বাজারে আসবে। এ ছাড়া, বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে সেরা ৫ মডেলের ফ্রিজ উৎপাদন এবং বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে ওয়ালটন। শৈল্পিক সৌন্দর্য, মান, আভিজাত্য, ধারণক্ষমতা, সাশ্রয়ী দাম এবং সর্বাধুনিক সুবিধাসহ সব দিক দিয়ে যা হবে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্মার্ট ফ্রিজ। এই ফ্রিজগুলোর ধারণক্ষমতা হবে ৫০০ থেকে ৭০০ লিটার।

ওয়ালটন ফ্রিজ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় মানের ওপর। ওয়ালটনের স্লোগান ‘কোয়ালিটি ফার্স্ট’। মান ধরে রাখার ক্ষেত্রে কোনো আপস করে না প্রতিষ্ঠানটি। ফ্রিজের কম্প্রেসরে ১২ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে। পুরো দেশে ওয়ালটনের ৭০টির বেশি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। এই সার্ভিস সেন্টারগুলোতে ক্রেতারা ফোন দিলে সঙ্গে সঙ্গে সেবা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে আর কোনো কোম্পানির এতগুলো সার্ভিস সেন্টার নেই। দেশের ক্রেতারা যখন কোনো পণ্য ক্রয় করে তখন সে প্রথমেই চিন্তা করে তার পণ্যে যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে সে কোথায় সেবা নেবে। ক্রেতার কথা চিন্তা করেই ওয়ালটন সারা দেশে সার্ভিস সেন্টার করেছে। সারা দেশে সার্ভিস সেন্টার থাকার ফলে ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। ওয়ালটনের পণ্যে মানের পাশাপাশি দামও সাধ্যের মধ্যে। ওয়ালটন সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পণ্য ক্রেতাদের দেয়।

ফ্রিজে প্রযুক্তির ছোঁয়া

ওয়ালটন ফ্রিজে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্রিজের হৃৎপিণ্ড বা হার্ট হচ্ছে কম্প্রেসর। ওয়ালটনের কম্প্রেসর হচ্ছে ইনভার্টার প্রযুক্তিসমৃদ্ধ । ফ্রিজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি হচ্ছে ইনভার্টার। পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় প্রযুক্তি এখনো তৈরি হয়নি। ইনভার্টার থাকার কারণে ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়। ফলে বিদ্যুৎ বিল অনেক কম আসে।

ওয়ালটন শিগগিরই স্মার্ট কন্ট্রোলিং আইওটি প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর নিয়ে আসতে যাচ্ছে। যেটি যুক্ত থাকবে ইন্টারনেটে। যা প্রযুক্তির সহায়তায় ফ্রিজে খাবার কতটুকু আছে তা নিয়ন্ত্রণ করবে। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, কিছুদিনের মধ্যে নতুন একটি প্রযুক্তি নিয়ে আসবে তারা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সুপারশপে ফ্রিজ থেকে স্বয়ংক্রিয় বার্তা (নোটিফিকেশন) যাবে। সে বার্তায় থাকবে কোনো ফল বা ডিম কমে গেছে কি না। এ তথ্য নোটিফিকেশন আকারে ফ্রিজ ব্যবহারকারী ও একই সঙ্গে সুপারশপে চলে যাবে। নোটিফিকেশনটা গেলে সুপারশপগুলো বুঝতে পারবে নির্দিষ্ট ওই বাসায় পণ্যগুলো নেই। পণ্যগুলো বাসায় প্রয়োজন। ব্যবহারকারী তখন অনলাইনে চাহিদা জানাবে এবং সুপারশপ থেকে পণ্যগুলো বাসায় দিয়ে যাবে। এই প্রযুক্তিটা ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ প্রিমিয়ার ব্র্যান্ডের ফ্রিজে যোগ করবে। এ ছাড়া কত সময় ফ্রিজ চলল, সেই পরিসংখ্যানটাও জানা যাবে। আধুনিক প্রযুক্তির ফলে খাবারে স্বাস্থ্য, ফ্রিজের স্বাস্থ্য সবকিছু চেক করা যাবে।

ওয়ালটন কারখানায় ১৫ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। যাঁরা শুধু ফ্রিজ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। এই কর্মী দল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্রিজ তৈরি করছেন। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র কর্মীরা প্রতি মাসে বিদেশে যাচ্ছেন উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে।

ওয়ালটনের পণ্য দেশে উৎপাদন করা হয়। চন্দ্রায় ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানা রয়েছে। ফ্রিজের কম্প্রেসর থেকে শুরু করে সবকিছুই তৈরি করছে ওয়ালটন। নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওয়ালটনের কারখানায় কম্প্রেসর তৈরি করছে ওয়ালটন। কম্প্রেসর আন্তর্জাতিক মানের। এই কম্প্রেসরে আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ওয়ালটনের কারখানায় ফ্রিজ তৈরি করার চারটি লাইন। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজারের মতো ফ্রিজ উৎপাদন করে।