২০ কোটি মানুষের পোস্ট চায় মার্কিন নৌবাহিনী

সাধারণ মানুষ অনলাইনে কী কী বিষয়ে আলোচনা করে, তা নিয়ে গবেষণা করতে কমপক্ষে ৩৫ হাজার কোটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টের একটি সংগ্রহশালা তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। তবে সামরিক এই প্রকল্পে কোন কোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

প্রকল্পটির অধীনে যেসব পোস্ট থাকবে, সেগুলো ‘পাবলিক’ হতে হবে। কমপক্ষে ১০০টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের এবং কমপক্ষে ৬০টি ভিন্ন ভাষার পোস্ট এই আর্কাইভে রাখা হবে। সে সঙ্গে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে করা পোস্টগুলোই এতে স্থান পাবে। এই বিপুল পরিমাণ তথ্য সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করেছে দেশটির নেভাল পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কুল। দরপত্রের নথি থেকেই এই তথ্যগুলো জানা গেছে। তাতে অবশ্য আবেদন এখন বন্ধ আছে।

দরপত্রের নথি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত ২০ কোটি স্বতন্ত্র ব্যবহারকারীর পোস্ট এই আর্কাইভে স্থান পাবে। তবে কোনো নির্দিষ্ট দেশের পোস্ট ৩০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। এর মধ্যে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ইংরেজি ব্যতীত অন্য কোনো ভাষার পোস্ট হতে হবে। আর অন্তত ২০ শতাংশ পোস্টে অবস্থানসংক্রান্ত তথ্য থাকতে হবে। ব্যক্তিগত বার্তা এবং ব্যবহারকারীদের তথ্য এই ডেটাবেইসের অংশ হবে না।


প্রকল্পটির প্রধান গবেষক টি ক্যামবার ওয়ারেন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর এসব তথ্য আমাদের প্রথমবারের মতো বুঝতে সাহায্য করবে, মানুষ কীভাবে এই মাধ্যমগুলোতে অভিব্যক্তি প্রকাশ করছে এবং হিংসাত্মক বাণী প্রচার করছে। এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারব, কীভাবে এবং কেন কিছু নির্দিষ্ট বক্তব্যকে ঘিরে সম্প্রদায়গুলো গড়ে উঠছে।’

মার্কিন নৌবাহিনী এর আগে ২০০২ সালেও টর ছদ্মনামে ব্রাউজিং নেটওয়ার্ক তৈরির পেছনে কাজ করেছিল। দ্য অনিয়ন রাউটার নামে পরিচিত টরের মূল লক্ষ্য ছিল লোকজন কীভাবে বিভিন্ন কম্পিউটারের নেটওয়ার্কে ওয়েব পেজগুলোর জন্য এনক্রিপশন ব্যবহার করে এবং বেনামি অনুরোধ উত্থাপন করে, তা জানা। সূত্র: বিবিসি