চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহ বেশি!

ভবিষ্যতে কর্মীরা আর বাঁধাধরা কাজে খুব বেশি আগ্রহ দেখাবেন না। তাঁরা ঝুঁকে পড়বেন ফ্রিল্যান্সিং কাজের দিকে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক চাকরির প্ল্যাটফর্ম টোটাল জবসের করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন বিষয় উঠে এসেছে। ২০১৭ সালে মে মাস থেকে ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত ২ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এ সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ খোঁজার হার ১৩২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহের বিষয়টি জানতে ২ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করেন টোটাল জবসের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা দাবি করেছেন, আগের চেয়ে যুক্তরাজ্যে প্রচলিত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চাকরির প্রথা ভাঙছে বেশি। সেখানকার কর্মীরা শিথিল নিয়ম ও বেশি বেতনের কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ জন্য চুক্তিভিত্তিক বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ বাড়ছে দেশটিতে।

ফ্রিল্যান্স কাজের আগ্রহ বাড়তে থাকায় চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য দল বড় করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন খাতের দক্ষ কর্মীকে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে তাদের ব্যবসার মূল্য বাড়ছে এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ ও ধারণা যুক্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাকরিদাতাদের জন্য ফ্রিল্যান্সাররা প্রয়োজনে শূন্যতা পূরণের হাতিয়ার হতে পারেন। যত বেশি ফ্রিল্যান্সার এ ধরনের কাজে আগ্রহী হবেন, তত চাকরিদাতাদের মেধাবী ফ্রিল্যান্সার আকর্ষণের সুযোগ খুঁজে নিতে হবে। তবে ফ্রিল্যান্সারদের ধরে রাখতে ভালো সুযোগ-সুবিধাও বজায় রাখতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকায় চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রচলিত স্থায়ী চাকরির বিষয়গুলো নিয়ে কী করা যায়, সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কাজের সময়ের ক্ষেত্রে নমনীয় হওয়া, দূরে বসে কাজের সুযোগের মতো বিষয়গুলো নিয়ে চাকরিদাতাদের ভাবতে হবে। চার দেয়ালের মধ্যে কর্মীকে আটকে রাখার বদলে তাদের ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ সৃষ্টি করাটা জরুরি।