চাঁদেও তাঁরা গাড়ি চালিয়েছেন

রোভারে রসদ তুলছেন জেমস আরউইন। ছবি: নাসা
রোভারে রসদ তুলছেন জেমস আরউইন। ছবি: নাসা

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার অ্যাপোলো ১৫ অভিযানের নভোচারীরা যখন চাঁদে অবতরণ করেন, তাঁদের চন্দ্রযানে প্রথমবারের মতো একটি রোভার পাঠানো হয়। সেটি ব্যবহার করে ১৯৭১ সালের ৩১ জুলাই মার্কিন নভোচারী ডেভিড স্কট ও জেমস আরউইন চাঁদে, অন্যভাবে বললে পৃথিবীর বাইরে প্রথম কোনো যান চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। স্কট ও আরউইনের পর থেকে রোভার প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। তবে নাসার প্রথম সেই লুনার রোভিং ভেহিক্যালস (এলআরভি) থেকে পাওয়া শিক্ষা আজও কাজে লাগানো হয়।

রোভারটির ওজন ছিল ২০৮ কেজির মতো। প্রয়োজনমাফিক ভাঁজ করে রাখা যেত। স্বাভাবিক অবস্থায় ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতিতে চললেও চন্দ্রপৃষ্ঠে এত গতি নিশ্চয় তোলা সম্ভব হয়নি। তবে চাঁদের পাথুরে ভূমিতে নভোচারীরা রোভারটি বেশ ভালোই চালিয়েছিল বলে শোনা যায়।

তা ছাড়া অবতরণের জায়গার বাইরেও ঘুরে দেখা সম্ভব হয়েছে রোভারটির জন্যই। তবে সমস্যা হলো, এটির ব্যাটারি পুনরায় চার্জ করা যেত না। কোনো কারণে যদি তা বিকল হয়ে পড়ে এবং নভোচারীরা যদি অবতরণের জায়গা থেকে অনেক দূরে গিয়ে থাকেন, তবে ফিরে আসার মতো যথেষ্ট রসদ তাঁদের সঙ্গে সব সময় বহন করতে হয়েছে। অ্যাপোলো ১৫ অভিযানে ৩ ঘণ্টা ২ মিনিটে সব মিলিয়ে ২৭ কিলোমিটার পাড়ি দেয় সে রোভার।

সূত্র: স্পেস ডটকম