ফেসবুকে নিরাপদ থাকা

ফেসবুক আপনার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে, আর এ জন্যই আপনার অ্যাকাউন্ট মন্দ মানুষদের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে। ফেসবুকের ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর বোঝা গেছে যে শুধু শক্ত পাসওয়ার্ডই আপনার ফেসবুকে শেয়ার করা সবকিছু বা আপনার অ্যাকাউন্টকে যে নিরাপদ রাখবে, বিষয়টা ঠিক তা নয়। এর পরিবর্তে গবেষকেরা ব্যবহারকারী এবং তাঁদের বন্ধুদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করছেন।

সিনেটের এক নতুন প্রতিবেদনে এসেছে যে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ এই প্রাইভেসি ইস্যুটি সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই জানেন, যা ফেসবুকের জন্য আরেকটি কালো অধ্যায়। ফেসবুকের অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। ফেসবুক নিজেই ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করার সেটিংস রেখে দিয়েছে, আপনার শুধু দরকার সেই সেটিংস আপনার প্রিয় ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও করে রাখা এবং নিয়মকানুনগুলো মেনে চলা। তা করতে চাইলে সবচেয়ে ভালো হবে ফোন থেকে ফেসবুকে না ঢুকে (লগ-ইন) ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার থেকে ঢোকেন তবেই। সমস্যা হচ্ছে ফেসবুক নিয়মিত তাদের সেটিংস বদল করে। তাই জানা থাকতে হবে কীভাবে আপনারা নিরাপদ থাকবেন ফেসবুকে।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন
প্রথমেই যে কাজটি করা দরকার তা হচ্ছে, একটি শক্তিশালী ও জোরালো পাসওয়ার্ড বেছে নেওয়া এবং দুই স্তর প্রমাণীকরণ (টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) সক্রিয় করা। পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষ চিহ্ন (স্পেশাল ক্যারেক্টার) যেমন !@#$%^&* যুক্ত করতে হবে এবং সহজে অনুমান করা যায়, আগের অন্য কোনো অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে না। এটি করবেন https://fb.com/settings-এর বায়ের মেনুতে থাকা Security and Log-in মেনু থেকে লগইন অংশের Change Password অপশনে গিয়ে। নতুন পাসওয়ার্ড সেট করা হয়ে গেলে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন। এটি পাবেন এই পেজেরই Two-Factor Authentication সেকশনে। এটি সক্রিয় করতে চাইলে আপনার ফেসবুকের সেই সিকিউর পাসওয়ার্ড দিতে হবে। এর কাজ হচ্ছে যখনই আপনি বা আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কেউ লগইন করতে চাইবে, আপনার আগে থেকে দেওয়া ফোন নম্বরে একটি সংকেত বা কোড চলে আসবে। সেই কোড দিলেই শুধু আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন হয়ে যাবে।