টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসির অ্যাকাউন্ট হ্যাকড

টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডরসি। ছবি: রয়টার্স
টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডরসি। ছবি: রয়টার্স

টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডরসির টুইটার অ্যাকাউন্ট কিছু সময়ের জন্য হ্যাকড হয়েছিল। ‘চাকলিং স্কোয়াড’ নামের একটি হ্যাকার দল জ্যাক ডরসির অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার দাবি করেছে। ৪০ লাখের বেশি অনুসারী হয়েছে ওই প্রোফাইলে। হ্যাকড হওয়ার পর ওই অ্যাকাউন্ট থেকে অত্যন্ত আপত্তিকর এবং বর্ণবাদী মন্তব্য করা হয়। ওই প্রোফাইল প্রায় ১৫ মিনিট হ্যাকারদের দখলে ছিল বলে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের নিজস্ব সিস্টেমে ঢুকতে পারেনি হ্যাকাররা। এর জন্য একটি মোবাইল অপারেটর দায়ী। তবে ওই মোবাইল অপারেটরের নাম প্রকাশ করেনি তারা।

টুইটারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মোবাইল অপারেটরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের সুযোগে টুইটার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে থাকা ফোন নম্বর আগে হ্যাক করা হয়। এতে অননুমোদিত ব্যক্তি ফোন নম্বর থেকে টেক্সট বার্তার মাধ্যমে টুইট করতে পেরেছে। এ সমস্যা এখন সমাধান করা হয়েছে।

টুইটারের একটি সূত্র বলেছে, হ্যাকারা ‘সিমসোয়াপিং’ বা ‘সিমজ্যাকিং’ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে জ্যাক ডরসির অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ পদ্ধতিতে বর্তমান ফোন নম্বরকে নতুন একটি সিমকার্ডে স্থানান্তর করা হয়। অনেক সময় মোবাইল অপারেটরের কোনো কর্মীকে ঘুষ দিয়ে বা ফাঁদে ফেলে এ ধরনের কাজ করতে পারে দুর্বৃত্তরা। ডরসির ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর টেক্সট বার্তা ব্যবহার করে সরাসরি টুইট পোস্ট করতে পেরেছে হ্যাকাররা।

মোবাইল ফোন থেকে টুইট করার অপশনটি এখনো চালু রেখেছে টুইটার। কারণ, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ডেটার দাম বেশি হওয়ায় সেখানে বার্তার মাধ্যমেই টুইট করার সুবিধাটি রয়েছে।

জ্যাক ডরসির অ্যাকাউন্ট থেকে করা একটি টুইটে লেখা হয়েছে, তাদের প্রধান কার্যালয়ে বোমা পেতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হলোকাস্ট নিয়ে আপত্তিকর টুইট করা হয়।

হ্যাকাররা একটি ওয়েবসাইট চালু করে সেখানে হ্যাকিং নিয়ে আলোচনা ও কৌতুক শুরু করে। পরে অবশ্য সেটি বন্ধ করে দিয়েছে।

সম্প্রতি চাকলিং স্কোয়াডের পক্ষ থেকে হাই-প্রোফাইল বেশ কয়েকটি টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিউটি ভ্লগার জেমস চার্লস, ইউটিউবার ডেসমন্ড অ্যামোফা প্রমুখ।

টুইটারের বাইরে থেকে কেউ তাদের নিরাপত্তা ভেঙে ফেলছে। এ ঘটনা তাদের জন্য বিব্রতকর। টুইটারে বিশ্বের বড় বড় রাজনৈতিক নেতার প্রোফাইল রয়েছে।