সফটওয়্যার ব্যবসা করতে হলে বেসিসের সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালক বাণিজ্য সংগঠনের কার্যালয় থেকে সম্প্রতি সফটওয়্যার খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য আবশ্যিকভাবে বেসিসের সদস্যপদ নিশ্চিতকরণ বিষয়ক পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, বাণিজ্য সংগঠন অধ্যাদেশ ১৯৬১-এর ১৩ ধারার বিধানমতে এখন থেকে সফটওয়্যার খাতের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আবশ্যিকভাবে বেসিসের সদস্যপদ গ্রহণ করতে হবে। সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের বেসিসের সদস্যপদ আছে কিনা তা এখন থেকে সকল ক্ষেত্রে যাচাই করা হবে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) বাংলাদেশের সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের একটি বাণিজ্য সংগঠন। এটি জাতীয়ভাবে সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বেসিস সূত্রে জানা গেছে, ইস্যুকৃত পরিপত্র অনুযায়ী, সফটওয়্যার খাতে ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বেসিসের সদস্যপদ থাকা লাগবে এবং সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসিসের সদস্যপদ রয়েছে কিনা তা যাচাই করা হবে।

বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বেসিস। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং বাড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। তাই সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এক জোট হয়ে এ খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাবে বেসিস। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পরিচালক বাণিজ্য সংগঠনের কার্যালয় থেকে এ পরিপত্র জারির জন্য বেসিস নির্বাহী পরিষদের পক্ষে আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এবং সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, বেসিসে দুধরনের সদস্য হতে পারে প্রতিষ্ঠান। একটি সাধারণ সদস্য ও একটি সহযোগী সদস্য। সাধারণ সদস্য হতে ১০ হাজার ও সহযোগী সদস্য হতে ২০ হাজার টাকা নেয় বেসিস। এ ছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সদস্যপদ টাকা দিয়ে প্রতিবছর নবায়ন করতে হয়।

বেসিসের কাজের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সদস্যদের সেবা দিতে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সরকারকে সাহায্য করা। স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা প্রদর্শনের লক্ষ্যে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, মেলা ও সম্মেলন আয়োজন করে বেসিস।