১৩ বছর পর দেখা মিলবে ক্ষুদ্রতম চাঁদের

অতীতে এভাবে দেখা গেছে ক্ষুদ্রতম চাঁদ। ছবি: সংগৃহীত
অতীতে এভাবে দেখা গেছে ক্ষুদ্রতম চাঁদ। ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল শুক্রবার পূর্ণিমার রাত। তবে অন্যান্য পূর্ণিমা থেকে এবারের রাতটি একটু আলাদা। কারণে এ রাতে দেখা মিলবে ক্ষুদ্রতম চাঁদের। দীর্ঘ ১৩ বছর পর পৃথিবীতে দেখা যাবে এ ক্ষুদ্রতম চাঁদ। এর আগে ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে দেখা গিয়েছিল ক্ষুদ্রতম চাঁদ।

বিজ্ঞানীদের মতে, ‘মাইক্রো মুন’ বা ক্ষুদ্রতম চাঁদের ক্ষেত্রে চাঁদ ১৪ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছোট দেখায়।

উপবৃত্তাকার কক্ষপথের কারণে চাঁদ কখনো পৃথিবীর কাছে আসে, কখনো দূরে চলে যায়। সে অনুযায়ী, আগামীকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চাঁদ পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করবে। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব দুই লাখ ৫১ হাজার ৬৫৫ মাইল দূরে হলেই মাইক্রো ধরা হয়। কিন্তু এবার তার থেকেও ৮১৬ মাইল দূরে থাকবে চাঁদ। আর সুপার মুনের ক্ষেত্রে পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব হয় দুই হাজার ৩৯ মাইল বা তার চেয়ে কম। তখন চাঁদকে আকারে খুব ছোট দেখা যায়, তাই একে বলে ‘মাইক্রো মুন’ বা ক্ষুদ্রতম চাঁদ।

১৩ বছর পর দেখা মিলবে ক্ষুদ্রতম চাঁদের। ছবি: সংগৃহীত
১৩ বছর পর দেখা মিলবে ক্ষুদ্রতম চাঁদের। ছবি: সংগৃহীত

এবার পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে কাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে। আর পূর্ণিমা শেষ হবে পরদিন শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৪ মিনিটে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ সময়ের মধ্যে চাঁদকে সব থেকে ছোট দেখাবে। ১৩ বছর পর চাঁদকে এতটা ছোট রূপে দেখতে চাইলে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নজর রাখতে হবে আকাশের দিকে।

তবে বাংলাদেশ থেকে ‘মাইক্রো মুন’ বা ক্ষুদ্রতম চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে মেঘলা আকাশ। কারণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আগামীকাল শুক্রবারও আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। আগামী ৭২ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কমে আসবে। আর আকাশ যদি মেঘলা থাকে তবে ক্ষুদ্রতম চাঁদ দেখার সুযোগ হারানোর সম্ভাবনা আছে। বিজ্ঞান জানিয়েছে ১৩ বছরের কম বা বেশি সময় পরে এ চাঁদের দেখা মেলে। সে ক্ষেত্রে ২০৩৩ সালের মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ পরের ক্ষুদ্রতম চাঁদ দেখা যাবে ওই সময়। তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট ও আবহাওয়া অফিস