তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হবে: জুনাইদ আহমেদ

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েকজনের হাতে টিকিট তুলে দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। ছবি: হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েকজনের হাতে টিকিট তুলে দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। ছবি: হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশকে মেধানির্ভর অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চাই। এর অংশ হিসেবে জেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় জাপানে প্রশিক্ষণে যাচ্ছে ৫০ জনের একটি দল। জাপানের ফুজিৎসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ডেটা সায়েন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস, রোবোটিকস, ব্লক চেইন এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ৯০ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। সে উপলক্ষে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম বলেন, ইতিমধ্যে ১১ হাজার জনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে আরও ৩ হাজার ১০০ জনের প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে। আরও বিভিন্ন বিষয়ে ৪৫ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গুণগত প্রশিক্ষণ শেষে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২টি জেলায় ৭ তলা (প্রতি তলা ১৫ হাজার বর্গফুট) মাল্টিটেনেন্ট ভবন নির্মাণ (স্টিল স্ট্রাকচার); ১২টি জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৭ হাজার বর্গফুট) ক্যানটিন ও এমপি থিয়েটার ভবন (স্টিল স্ট্রাকচার); ৮টি জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৬ হাজার বর্গফুট) ডরমিটরি ভবন (আরসিসি স্ট্রাকচার) এবং ১২টি জেলায় ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজ। এ ছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে।