ওজোনস্তর রক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়ালটন

ওজোনস্তর সুরক্ষা বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওয়ালটনের সেমিনারে অতিথিরা। ছবি: ওয়ালটনের সৌজন্যে
ওজোনস্তর সুরক্ষা বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওয়ালটনের সেমিনারে অতিথিরা। ছবি: ওয়ালটনের সৌজন্যে

ওজোনস্তর রক্ষায় ও উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে ‘এইচএফসি ফেজ আউট’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ওয়ালটন। এ প্রকল্পের আওতায় পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড আয়োজিত সাম্প্রতিক এক সেমিনারে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম। ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

উপমন্ত্রী বলেন, ওয়ালটনই একমাত্র কোম্পানি, যারা ইলেকট্রনিক পণ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। ওয়ালটন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাঁচামাল ব্যবহার করে না। ওজোনস্তর সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পাঁচটি প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে, যার মধ্যে তিনটি প্রকল্প ওয়ালটনের।

এস এম আশরাফুল আলম বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী বলেন, ওজোনস্তর হচ্ছে পৃথিবীর ফিল্টার। কিন্তু ক্ষতিকর কেমিক্যাল ও গ্যাসের ব্যবহারে তা ধ্বংস হচ্ছে। ওজোনস্তর রক্ষার জন্য ১৯৮৭ সালে কানাডার মন্ট্রিলে স্বাক্ষরিত হয় বিশ্ব চুক্তি। মন্ট্রিল প্রটোকলখ্যাত ওই চুক্তিতে অনুস্বাক্ষরিত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। ওজোনস্তর রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর, ইউএনডিপি ও ওয়ালটনের যৌথ উদ্যোগ সারা বিশ্বেই প্রশংসিত হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৩০ মেট্রিক টনের বেশি এইচএফসি ব্যবহার রোধ হচ্ছে, যা প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সমপরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের সমান।