ফেসবুক ভেঙে দেওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান জাকারবার্গের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ওই সাক্ষাতের সময় ফেসবুক ভেঙে দেওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। খবর এএফপির।

ফেসবুকের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিযোগিতা, ডিজিটাল প্রাইভেসি, সেন্সরশিপ ও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিয়ে স্বচ্ছতার আইনি প্রশ্ন এ নিয়ন্ত্রণ আরোপের মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জাকারবার্গের সাক্ষাতের ঘটনা ঘটল।

ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে ছিল ভবিষ্যৎ ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ ও এ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়।

ওয়াশিংটনে তিন দিন ধরে বিভিন্ন আইনপ্রণেতার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন জাকারবার্গ। বিভিন্ন সরকারি তদন্তের মুখে পড়া ফেসবুকের ওপর চাপ সরাতেই তার তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি ডেমোক্র্যাট সিনেট মার্ক ওয়ার্নার ও রিপাবলিকান সিনেটর জশ হাওলের সঙ্গেও ব৵ক্তিগত পর্যায়ে সাক্ষাৎ করেছেন।

ফেসবুকের সমালোচক হিসেবে পরিচিত জশ হাওলে বলেন, জাকারবার্গের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে তবে তারা সতর্ক ছিলেন। ফেসবুকে পক্ষপাত, প্রাইভেসি ও প্রতিযোগিতা বিষয়ে তাঁকে দুটি চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম বিক্রি করে দেওয়া আরেকটি হচ্ছে সেন্সরশিপ বিষয়ে স্বাধীন তৃতীয় পক্ষের কাউকে দায়িত্ব দেওয়া।

জাকারবার্গ দুটি প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাকারবার্গের সঙ্গে সাক্ষাতের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট দেন। সেখানে তাদের হাত মেলানোর বিষয়টি দেখা গেলেও আলোচনার বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

ট্রাম্প বলেছেন, ওভাল অফিসে ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে দারুণ সাক্ষাৎ হলো।

ফেডারেল ও এন্টিট্রাস্টের সদস্যরা ফেসবুকের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি ও প্রাইভেসির নানা বিষয় নিয়ে তদন্ত করছেন।

দুই মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন তথ্য সুরক্ষা লঙ্ঘনের অভিযোগে ফেসবুককে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে।