শেষ হলো বিডিসিগ সম্মেলন

বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স (বিডিসিগ ২০১৯) স্কুলের সমাপনী অনুষ্ঠান। ছবি: বিডিসিগের সৌজন্যে।
বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স (বিডিসিগ ২০১৯) স্কুলের সমাপনী অনুষ্ঠান। ছবি: বিডিসিগের সৌজন্যে।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে খাপ খাওয়াতে হলে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ভাষায় অজ্ঞতার বাধা দূর করতে হবে। এই দুই বাধা অতিক্রম করতে ইন্টারনেটের ভাষা হিসেবে ডট বাংলা বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাম ও শহর পর্যায়ে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে অংশ নেওয়া যাবে না। সমান্তরালভাবে তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের বৈষম্য দূর করতে হবে। সাইবার জগতের পাশাপাশি তথ্যের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ওয়াইডব্লিউসিএ ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত দুই দিনের বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স (বিডিসিগ ২০১৯) স্কুলের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের চেয়ারপারসন হাসানুল হক ইনু।

বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল হকের পরিচালনায় এ সময় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম বজলুর রহমান, ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এম এ হাকিম।

দুই দিনের বিডিসিগ ২০১৯ সম্মেলনের শেষ দিনে আইওটি নিয়ে আলোচনা করেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক কাজী হাসান। সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক সেশনে ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আহমেদ বলেন, প্রতিটি তথ্যের একটি সুনির্দিষ্ট মূল্য রয়েছে। তাই এর নিরাপত্তায় নিরাপদ অবকাঠামো ও স্থাপনা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাইবার আচরণ, মূল্যবোধ ও সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

ডিজিটাল অর্থনীতির ওপর আলোচনা করেন এসএসএল ওয়্যারলেসের ই-কমার্স সেবা বিভাগের প্রধান এম নাওয়াট আশেকিন। ডোমেইন নেম সিস্টেম (ডিএনস) নিয়ে আলোচনা করেন আইক্যানের ফেলো শায়লা শারমিন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে বাংলাদেশ সেন্টার ফর আইআরের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ তামজিদ উর রহমান এবং ভুয়া তথ্য ও প্রচারণা এবং ফেক নিউজের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন মিডিয়া কনসালট্যান্ট জায়ান আল মাহমুদ। বিজ্ঞপ্তি