সরকারি সেবায় প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে এআই

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জনসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ছবি: রয়টার্স
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জনসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ছবি: রয়টার্স

জনগণকে সরকারি নানা সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাহায্যকারী টুল হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ ও গুগলের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গতকাল বুধবার ওই তথ্য প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইএসসিএপি) ও গুগল।

আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইএসসিএপি ও গুগলের করা গবেষণায় গুগল নানা কেস স্টাডি তুলে ধরেছে। এতে সরকার ও বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। জনসেবা দিতে সরকারি ও বেসরকারি প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ বলেই ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

ওই গবেষণায় এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ভারতের একটি রাজ্যে কৃষকদের কাছে কৃষি সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে মোট তিনটি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ফসল বোনা, দামের পূর্বাভাস পাওয়ার মতো বিষয়গুলো জানার সুযোগ পান কৃষকেরা। এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে কৃষকদের কাছে তথ্য পৌঁছানোর যে ঘাটতি ছিল, তা দূর করা সম্ভব হয়। এতে প্রান্তিক কৃষকদের জীবনমান উন্নত হয়েছে।

ইএসসিএপির নির্বাহী সচিব সালসিয়া অ্যালিসজাবানা বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্য রয়েছে, তা অর্জনে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ জরুরি উদ্ভাবনী পথে হাঁটছে। জনগণকে কার্যকর, দক্ষ ও স্বচ্ছ সেবা দিতে তারা নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মতো আধুনিক প্রযুক্তি জনসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কৃষি, স্বাস্থ্য, বিচার, পরিবেশ, বিমা ও সমাজকল্যাণে এর ব্যবহার দেখা যাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জনসেবার ক্ষেত্রে এআইয়ের মতো প্রযুক্তি এখনো প্রাথমিক স্তরে থাকায় এ খাতে নানা অসুবিধা, পরীক্ষামূলক ভুল হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ছাড়া সরকারকে এ বিষয়ে নীতি নির্ধারণ করে রাখতে হবে।